পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । এমন কাহারও আলোক অবগু হইবে, যাহার পক্ষে উহা ধারকরা আলোক নহে, অথবা যাহা অপর আলোকের প্রতিবিম্বও নহে, কিন্তু যাহা স্বয়ং আলোকস্বরূপ ; অতএব সেই আলোক বা জ্ঞান, সেই পুরুষের স্বরূপভূত বলিয় তাহার কখন নাশ বা ক্ষয় হয় না, উহ কখন প্রবল, কখনও বা মৃদু হইতে পারে না। উহা স্বপ্রকাশ–উহ আলোকস্বরূপ। আত্মা জানেন,তাহা নহে, আত্মা জ্ঞানস্বরূপ ; আত্মার অস্তিত্ব আছে, তাহা নহে, আত্মা অস্তিত্বস্বরূপ ; আত্মা যে মুখী, তাহা নহে, আত্মা মুখস্বরূপ। যে সুখী, তাহার সুখ অপর কাহার ও নিকট প্রাপ্ত—উহা অার কাছারও প্রতিবিম্ব । যাহার জ্ঞান আছে, সে অপর কাহারও নিকট জ্ঞানলাভ করিয়াছে, উঠ প্রতিবিম্বস্বরূপ । যাহার অস্তিত্ব আছে, তাহার সেই অস্তিত্ব অপর কাহারও অস্তিত্বের উপর নির্ভর করিতেছে। যেখানেই গুণ ও গুণীর ভেদ আছে, সেখানেই বুঝিতে হইবে, সেই গুণগুলি গুণীর উপর প্রতিবিম্বিত হইয়াছে। কিন্তু জ্ঞান, অস্তিত্ব বা আনন্দ । এগুলি আত্মার ধৰ্ম্ম নহে, উহারা আত্মার স্বরূপ। পুনরায় প্রশ্ন হইতে পারে, আমরা এ কথা স্বীকার করিয়া লুইব কেন ? কেন আমরা স্বীকার করিব যে, আননা, অস্তিত্ব, স্বপ্রকাশিত আত্মার স্বরূপ, আত্মার ধৰ্ম্ম নহে? ইহার উত্তর এই—আমরা পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, শরীরের প্রকাশ মনের প্রকাশে ; তক্ষণ মন থাকে, ততক্ষণ উহার প্রকাশ, মন চলিয়া গেলে দেহেরও প্রকাশ আর থাকে মা । চক্ষু হইতে মন চলিয়া গেলে, মমি তোমার দিকে চাহিয়া থাকিতে পারি, কিন্তু তোমায় দেখিতে পাইব না ; অথবা শ্রবণেক্রিয় হইতে উহা চলিয়া গেলে, তোমাদের సి(t