পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । করিতেছে, আর যখন সেই শরীরের দ্বারা আর কোন কাৰ্য হইবার সম্ভাবনা থাকে না, তখন আর এক শরীর গ্রহণ করে। এক্ষণে আবার আত্মার পুনর্জন্মসম্বন্ধে প্রশ্ন আসিল । অনেক সময় লোকে এই পুনর্জন্মের কথা শুনিলেই ভয় পায়, আর লোকের কুসংস্কার এত প্রবল যে, চিন্তাশীল লোকেও বরং বিশ্বাস করিলে যে, আমরা শূন্ত হইতে উৎপন্ন হইয়াছি, তার পর আবার মহা যুক্তির সহিত সিদ্ধান্ত স্থাপন করিতে চেষ্টা করিবে যে, যদিও আমরা শূন্ত হইতে উৎপন্ন, কিন্তু পরে আমরা অনন্তকাল ধরিয়া থাকিব । যাহারা শূন্ত হইতে জাসিয়াছে, তাহার। অবশুই শূন্তে যাইবে। তুমি, আমি বা উপস্থিত কেহই পৃষ্ঠ হইতে আসে নাই, সুতরাং শূন্তে যাইবেও না। আমরা অনন্তকাল ধরিয়া রহিয়াছি এবং থাকিব, আর জগদ্‌ব্ৰহ্মাণ্ডে এমন কোন শক্তি নাই, ষাহ। তোমার অথবা আমার অস্তিত্ব উড়াইয়া দিতে পারে। এই পুনর্জন্মবাদে ভয় পাইবার কোন কারণ নাই, উহাই মানুষের নৈতিক উন্নতির প্রধান সহায়ক । চিন্তাশীল ব্যক্তিদিগের ইহাই স্থায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত। যদি পরে তোমার অনন্তকাল অস্তিত্ব সম্ভব হয়, তবে ইহাও সত্য যে, তুমি অনন্তকাল ধরিয়া ছিলে ; আর কোনরূপ হইতে পারে না । এই মতের বিরুদ্ধে যে কতকগুলি আপত্তি শুনিতে পাওয়া যায়, তাহার নিরাকরণ করিতে চেষ্ট। করিতেছি। যদিও তোমরা অনেকে এই আপত্তিগুলিকে অকিঞ্চিৎকর বোধ করিবে, কিন্তু তথাপি আমাদিগকে উহাদের উত্তর দিতে হইবে, কারণ, কখন কখন আমরা দেখিতে পাই, মহাচিন্তাশীল লোকেও অতি মূখোচিত কথাসকল বলিয়া থাকে। మాkణీ