পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । যে, কপোত শুেনের ভক্ষ্য ? ইহার একটী পুরাতন ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু উহাকে ব্যাখ্যাই বলা যাইতে পারে না। উহাকে স্বাভাবিক সংস্কার বলা হইত। যে ক্ষুদ্র কপোতটা এইমাত্র ডিম্ব হইতে বাহির হইয়াছে, তাহার এরূপ মরণভীতি আসে কোথা হইতে ? সদ্য ডিম্ব হইতে বহির্গত হংস জলের নিকট আসিলেই জলে বাপ দিয়া পড়ে, এবং সাতার দিতে থাকে কেন ? উহা কখন সন্তরণ করে নাই, অথবা কাহাকেও সন্তরণ করিতে দেখে নাই। লোকে বলে, উহা স্বাভাবিক জ্ঞান” । “স্বাভাবিক জ্ঞান’ বলিলে একটা খুব লম্বা-চোঁড় কথা বলা হইল বটে, কিন্তু উহা আমাদিগকে নূতন কিছুই শিখাইল না। এই স্বাভাবিক জ্ঞান কি, তাহ আলোচনা করা যাক। আমাদের নিজেদের ভিতরই শত প্রকারের স্বাভাবিক জ্ঞান রহিয়াছে। মনে কর,এক ব্যক্তি পিয়ানো বাজাইতে শিখিতে আরম্ভ করিলেন । প্রথমে তাহাকে প্রত্যেক পরদার দিকে নজর রাথিয়া তবে উহার উপর অঙ্গুলি প্রয়োগ করিতে হয় ; কিন্তু অনেক মাস, অনেক বৎসর অভ্যাস করিতে করিতে, উহা স্বাভাবিক হইয়া দাড়ায়, আপন আপনি হইতে থাকে। এক সময়ে যাহাতে জ্ঞানপূর্বক ইচ্ছার প্রয়োজন হইত, তাহাতে আর উহার প্রয়োজন থাকে না, কিন্তু উহা জ্ঞানপূর্বক ইচ্ছা ব্যতীতই নিষ্পন্ন হইতে পারে, উহাকেই বলে স্বাভাবিক জ্ঞান। প্রথমে উহ! ইচ্ছাসহকৃত ছিল, পরিশেষে উহাতে আর ইচ্ছার প্রয়োজন রহিল না। কিন্তু স্বাভাবিক জ্ঞানের তত্ত্ব এখনও সম্পূর্ণ বলা হয় নাই, অর্ধেক কথা বলিতে এখনও বাকি আছে। তাহ এই যে, যে সকল বণৰ্য্য এক্ষণে আমাদের স্বাভাবিক, তাহার প্রায় সবগুলিকেই ২৭৩