পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । তাহার প্রতি সব দোষ চাপান, তাহাকে দও পুরস্কারের কর্তা বলা কেবল নিরোধের কথা মাত্র। তিনি কাহারও দণ্ডবিধানও করেন না, কাহাকেও পুরস্কারও দেন না। সৰ্ব্ব দেশে, সৰ্ব্ব কালে, সৰ্ব্ব অবস্থায় তাহার অনন্ত দয়া পাইবার সকলেই অকি কারী। উহার ব্যবহার কিরূপে করিব, তাহা আমাদিগের উপর নির্ভর করিতেছে। মানুষ, ঈশ্বর বা অপর কাহারও উপর দোষারোপ করিও না যিখন নিজে কষ্ট পাও, তখন তাহার জন্য আপনাকেই দোষী বলিয়া স্থির কর, এবং যাচাতে আপনার মঙ্গল হয়, তাহারই চেষ্টা কর । পূৰ্ব্বোক্ত সমস্তার ইহাই মীমাংসা। যাহারা নিজেদের ছঃখকষ্টের জন্য অপরের উপর দোষরোপ করে ( দুঃখের বিষয়, এরূপ লোকের সংখ্যাই দিন দিন বাড়িতেছে ), তাহারা সাধারণতঃ হতভাগা দুৰ্ব্বলমস্তিষ্ক লোক ; তাহারা নিজেদের কৰ্ম্মদোষে এ অবস্থায় আসিয়া পড়িয়াছে, এক্ষণে তাহারা অপরের উপর দোষারোপ করিতেছে, কিন্তু তাহাতে তাহদের অবস্থার কিছু মাত্র পরিবর্তন হয় না, উহাতে তাহদের কিছুমাত্র উপকার হয় না। বরং অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাইবার এই চেষ্টাতে তাহাদিগকে আরও দুৰ্ব্বল করিয়া ফেলে। অতএব কাহাকেও তোমার নিজের দোষের জন্ত নিন্দ করিও না, নিজের পায় নিজে দাড়াও, সমুদয় দায়িত্ব নিজস্কন্ধে গ্রহণ কর। বল, আমি যে কষ্ট, ভোগ করিতেছি, তাহা আমারই কৃতকর্মের ফল। উৎ স্বীকার রিসেইসঙ্গে দেইহাত প্রমাণ হরফে উল আবার জন্ম দ্বারাই নষ্ট হইতে পারে। যাহা আমি স্মৃষ্টি করিয়াছি, তাহ Հծ2