পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতত্ব। ভাবিত, তাহা ভগ্ন হইয়া যাইতেছে—আর আধুনিক বিজ্ঞান সমুদয় ভূতকেই এক পদার্থ বলিয়া বুঝিতেছে—কেবল যেন সেই এক প্রাণশক্তিই নানা রূপে ও নানা আকারে প্রকাশ পাইতেছে— উহা যেন সমুদয়ের মধ্যে এক শৃঙ্খলৰূপে বিদ্যমান—এই সকল বিভিন্ন রূপ যেন তাহার এক একটা অংশ–অনন্তরূপে বিস্তৃত, অথচ সেই এক শৃঙ্খলেরই অংশ। ইহাকেই ক্রমোন্নতিবাদ বলে। এই ধারণা অতি প্রাচীন—মনুষ্যসমাজ যত প্রাচীন, এই ধারণাও তত প্রাচীন। কেবল মানুষের জ্ঞান যত বৰ্দ্ধিত হইতেছে, ততই উহা যেন আমাদের চক্ষে আরও উজ্জ্বলতররূপে প্রতিভাত হইতেছে। প্রাচীনের আর একটী বিষয় বিশেষরূপে বুঝিতেন— ক্রমসঙ্কোচ । কিন্তু আধুনিকের এই তত্ত্বট তত ভালরূপ বুঝেন না। বীজই বৃক্ষ হয়, একবিন্দু বালুকণা কখন বৃক্ষ হয় না। পিতাই পুত্র হয়, মৃত্তিকাখণ্ড কখন সন্তানরূপে জন্মে না। প্রশ্ন এই,—এই ক্রমবিকাশ-প্রক্রিয়া আরম্ভ হইবার পূর্বাবস্থাটা কি ? বীজ পূৰ্ব্বে কি ছিল ? উহা সেই বৃক্ষরূপে ছিল। ঐ বীজে ভবিষ্যৎ একটা বৃক্ষের সম্ভবনীয়তা রহিয়াছে। ক্ষুদ্র শিশুতে ভবিষ্যৎ মানুষের সমুদয় শক্তি অন্তর্নিহিত রহিয়াছে। সৰ্ব্বপ্রকার ভবিষ্যৎ জীবনই অব্যক্তভাবে উহাদের বীজে রহিয়াছে। ইহার তাৎপৰ্য্য কি ? ভারতের প্রাচীন দার্শনিকেরা ইহাকে ক্রমসঙ্কোচ বলিতেন। অতএব আমরা দেখিতে পাইতেছি, প্রত্যেক ক্রমবিকাশের আদিতেই একটী ক্রমসঙ্কোচ'-প্রক্রিয় রহিয়াছে। যাহা পূৰ্ব্ব হইতেই বর্তমান নহে, তাহার কখন ক্রমবিকাশ হইতে পারে না। এখানেও আধুনিক বিজ্ঞান আমাদিগকে সাহায্য করিয়া &>2