পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । এমন অবস্থা কথন আসিতে পারে না, যখন সবই ভাল হইয় যাইবে, মন কিছুই থাকিবে না। ইহাতে অনেকের চিরপোষিত আশা চূর্ণ হইতে পারে বটে, অনেকে ইহাতে ভয়ও পাইতে পারেন বটে, কিন্তু ইহা স্বীকার করা ব্যতীত আমি অন্ত উপায় দেখিতেছি না। অবশ্য আমাকে যদি কেহ বুঝাইয়া দিতে পারে, উহা সত্য, তবে আমি বুঝিতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু যতদিন না বুঝিতে পারিতেছি, ততদিন আমি কিরূপে উহা বলিব ? আমার এই বাক্যের বিরুদ্ধে আপাতদৃষ্টিতে যুক্তিযুক্ত এই এক তর্ক আছে যে, ক্রমৰিকাশের গতিক্রমে কালে যাহা কিছু অগুভ দেখিতেছি, সব চলিয়া যাইবে,—ইহার ফল এই হইবে যে, এইরূপ কমিতে কমিতে লক্ষ লক্ষ বৎসর পরে এমন এক সময় আসিবে, যখন সমুদয় অশুভের উচ্ছেদ হইয়া কেবল শুভমাত্র অবশিষ্ট থাকিবে। ইহা আপাততঃ খুব অখণ্ডনীয় যুক্তি বলিয়৷ বোধ হইতেছে বটে, ঈশ্বৱেচ্ছায় ইহা সত্য হইলে বড়ই মুখের হইত, কিন্তু এই যুক্তিতে একটা দোষ আছে। তাহ এই যে, উহ! শুভ ও অশুভ—এই দুইটার পরিমাণ চিরনির্দিষ্ট বলিয়া ধরিয়৷ লইতেছে। উহা স্বীকার করিয়া লইতেছে যে, একটী নির্দিষ্টপরিমাণ অশুভ আছে, ধর তাহ যেন ১০০, আবার এইরূপ নির্দিষ্ট-পরিমাণ শুভও আছে, আর এই অশুভটী ক্রমশঃ কমিতেছে ও কেবল গুভটী অবশিষ্ট থাকিয়৷ যাইতোছ। কিন্তু বাস্তবিক কি তাহাই ? জগতের ইতিহাস সাক্ষ্য দিতেছে যে, শুভের স্তায় অশুভও একটা ক্ৰমবৰ্দ্ধমান সামগ্রী। সমাজের খুব নিম্নস্তরের ব্যক্তির কথা ধর—সে জঙ্গলে বাস করে, তাহার ఇశ్రీy re.