পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুত্বে একত্ব । স্বরূপ। অশুভ চলিয়া যাইতেছে, ইহা সত্য হইতে পারে, কিন্তু তাহার সঙ্গে সঙ্গে শুভ চলিয়া যাইতেছে, ইহাও বলিতে হইবে। কিন্তু বাস্তবিক যেমন দুঃখ একদিকে কমিতেছে, তেমনিই কি আবার অপর দিকে কোটিগুণ বাড়িতেছে না ? বাস্তবিক কথা এই, সুখ যদি যোগখড়ির নিয়মানুসারে বাড়িতে থাকে, তাহা হইলে দুঃখ গুণখড়ির নিয়মানুসারে বাড়িতেছে, বলিতে হইবে । ইহার নামই মায়া। ইহা কেবল মুখবাদও নহে, কেবল দুঃখবাদও নহে। বে দান্ত কহেন না যে, জগৎ কেবল দুঃখময়। এরূপ বলাই ভুল। আবার এই জগৎ মুখে স্বচ্ছন্দে পরিপূর্ণ, এরূপ বলাও ঠিক নহে। বালকদিগকে এই জগৎ কেবল মধুময়—এখানে কেবল মুখ, এখানে কেবল ফুল, এখানে কেবল সৌন্দৰ্য্য, কেবল মধু—এরূপ শিক্ষা দেওয়া ভুল। আমরা সারা জীবনটাই এই ফুলের স্বপ্ন দেখিতেছি। আবার কোন একজন ব্যক্তি অপরের অপেক্ষা অধিক দুঃখভোগ কgাছে বলিয়া, সবই দুঃখময় বলাও তেমনি ভুল। জগৎ এই দ্বৈতভাবপূর্ণ ভালমদের খেলা। বেদান্ত আবার ইহার উপর আর এক কথা বলেন। মনে করিও না যে, ভাল মন্দ দুইটী সম্পূর্ণ পৃথকৃ বস্তু, বাস্তবিক উহার একই বস্তু ; সেই এক বস্তুই ভিন্ন ভিন্ন রূপে ভিন্ন ভিন্ন আকারে আবির্ভূত হইয় এক ব্যক্তিরই মনে ভিন্ন ভিন্ন ভাব উৎপাদন করিতেছে। অতএব বেদান্তের প্রথম কাৰ্য্যই এই, এই আপাতভিন্নপ্রতীয়মান বাহা জগতের মধ্যে একত্ব আবিষ্কার করা। পারসীকদের মত এই যে, ছুইটী দেবতা মিলিয়া জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন ; এ মতটা অবহু অতি অনুন্নত মনের পরিচায়ক । তাহাদের মতে ভাল দেবতা ধিনি, তিনি সব و لا ૨8>