পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুত্বে একত্ব । মৃতমুচ্যতে। তম্মিল্লোকাঃ শ্রিতা: সৰ্ব্বে তত্ত্ব নাতে্যুতি কশ্চন। এতৰৈ তৎ।' কঠ-৬ষ্ঠীবল্লী-১ম শ্লোক। ‘উৰ্দ্ধমূল ও নিম্নগামী শাখাযুক্ত এই চিরন্তন অশ্বখবৃক্ষ (অর্থাৎ সংসারবৃক্ষ ) রহিয়াছে। তিনিই উজ্জল, তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই অমৃতরূপ উক্ত হয়েন। সমুদয় লোক র্তাহাতে আশ্রিত হইয়া রহিয়াছে। কেহই তাহাকে অতিক্রম করিতে পারে না । ইনিই সেই আত্মা ।” বেদের ব্রাহ্মণ ভাগে নানাবিধ স্বর্গের কথা আছে। উপনিষদের মত এই যে, এই স্বর্গে যাইবার বাসনা ত্যাগ করিতে হইবে । ইন্দ্রলোক, বরুণলোকে গেলেই যে ব্রহ্মদর্শন হয়, তাহা নহে, বরং এই আত্মার ভিতরেই এই ব্ৰহ্মদর্শন সুস্পষ্টরূপে হইয়া থাকে। যথাদশে তথাত্মনি যথা স্বপ্নে তথা পিতৃলোকে। যথাস্থ, পরব দদৃশে তথা গন্ধৰ্ব্বলোকে, ছায়াতপয়োরিব ব্রহ্মলোকে ॥’ কঠ, ৬ষ্ঠ বল্পী, ৫ম শ্লোক । যেমন আরসীতে লোকে আপনার প্রতিবিম্ব পরিষ্কাররূপে দেখিতে পায়, তেমনি আত্মাতে ব্ৰহ্মদর্শন হয়। যেমন স্বপ্নে আপনাকে অস্পষ্টরূপে অনুভব করা যায়, তেমনি পিতৃলোকে ব্ৰহ্মদর্শন হয়। যেমন জলে লোকে আপনার রূপ দর্শন করে, তেমনি গন্ধৰ্ব্বলোকে ব্ৰহ্মদর্শন হয়, যেমন আলোক ও ছায়া পরস্পর পৃথকৃ, সেইরূপ ব্ৰহ্মলোকে ব্ৰহ্ম ও জগতের পার্থক্য স্পষ্ট উপলব্ধি হয়। কিন্তু তথাপি পুর্ণরূপে ব্ৰহ্মদর্শন হয় না । অতএব বেদান্ত বলেন, আমাদের নিজ আত্মাই সৰ্ব্বোচ্চ স্বৰ্গ, মানবাত্মাই পূজার জন্ত সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মন্দির, উহা সৰ্ব্বপ্রকার স্বৰ্গ হইতে শ্রেষ্ঠ, কারণ, এই আত্মার মধ্যে যেভাবে সেই সত্যকে হস্পষ্ট অনুভব করা যায়, আর কোথাও তত স্পষ্ট অনুভব হয়। - ఇ8న