পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । না । এক স্থান হইতে স্থানান্তরে গেলেই যে এই আত্মদর্শন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু সাহায্য হয় তাহা নহে। ভারতবর্ষে যপন ছিলাম, তখন মনে হইত, কোন গুহায় বাস করিলে হয়ত খুব স্পষ্ট ব্রহ্মানুভূতি হইবে, তার পর দেখিলাম, তাহা নহে। তাৰ পর ভাবিলাম হয়ত বনে গেলে সুবিধা হইবে, তার পর কাশীর কথা মনে হইল। সব স্থানেই একরূপ, কারণ, আমরা নিজেরাষ্ট নিজেদের জগৎ গঠন করিয়া লই। যদি আমি অসাধু হই, সমুদয় জগৎ আমার পক্ষে অসাধু প্রতীয়মান হইবে। উপনিষদ ইহাই বলেন। আর সেই একই নিয়ম সৰ্ব্বত্র খাটিবে। যদি আমার এখানে মৃত্যু হয় এবং যদি আমি স্বর্গে যাই, সেখানেও এখানকারই মত দেখিব । যতক্ষণ না তুমি পবিত্র হইতেছ, ততক্ষণ গুহ, অরণ্য, বারাণসী অথবা স্বর্গে যাওয়ায় বিশেষ কিছু লাভ নাই ; আর যদি তুমি তোমার চিত্তদর্পণকে নিৰ্ম্মল করিতে পার, তবে তুমি যেখানেই থাক না কেন, তুমি প্রকৃত সত্য অনুভব করিবে। অতএব এখানে ওখানে যাওয়া বৃথা শক্তিক্ষয় মাত্রসেই শক্তি যদি চিত্তদর্পণের নিৰ্ম্মলতাসাধনে ব্যয়িত হয়, তবেই ঠিক হয় । নিম্নলিখিত শ্লোকে আবার ঐ ভাব বর্ণিত হইয়াছে। ন সদশে তিষ্ঠতি রূপমন্ত । ন চক্ষুধা পশুতি কশ্চনৈনং | হৃদ মনীষা মনসাভিকৃ৯প্তে য এতদ্বিছরমৃত্যস্তে ভবস্তি।’ কঠ-৬ষ্ঠীবল্লী-৯ম শ্লোক । ૨d a -