পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আমি সকল জিনিষের কেন জানিতে চাই—“কেমন করিয়া হয়, এই অমুসন্ধান বালকের করুক । বিজ্ঞান আর কি ? তোমাদেরই একজন বড়লোক বলিয়াছেন, “সিগারেট খাইবার সময় যাহা যাহা ঘটে, তাহা যদি আমি লিখিয়া রাখি, তাহাই সিগারেটের বিজ্ঞান হইবে। অবশ্ব বিজ্ঞানবিৎ হওয়া খুব ভাল এবং গৌরবের বিষয় বটে—ঈশ্বর ইহাদিগকে ইহাদের অনুসন্ধানে সহায়তা ও আশীৰ্ব্বাদ করুন ; কিন্তু যখন কেহ বলে, এই বিজ্ঞানচর্চাই সৰ্ব্বস্ব, ইহা ছাড়া জীবনের আর কোন উদ্দেশু নাই, তখন সে নিৰ্ব্বোধের ন্তায় কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে বুঝিতে হইবে । বুঝিতে হইবে—সে কখন জীবনের মূল রহস্ত জানিতে চেষ্টা করে নাই, প্রকৃত বস্তু কি, সে সম্বন্ধে সে কথন আলোচনা করে নাই । আমি অনায়াসেই তর্কের দ্বারা বুঝাইয়া দিতে পারি যে, তোমার যত কিছু জ্ঞান, সব ভিত্তিহীন। তুমি প্রাণের বিভিন্ন বিকাশগুলি লইয়া আলোচনা করিতেছ, কিন্তু যদি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, প্রাণ কি, তুমি বলিবে, আমি জানি না। অবশু তোমার যাহা ভাল লাগে তাহা করিতে তোমায় কেহ বাধা দিতেছে না, কিন্তু আমাকে আমার ভাবে থাকিতে দাও । আর, ইহাও লক্ষ্য করিও যে, আমি আমার নিজের ভাব যেট, সেটা কাৰ্য্যে পরিণত করিয়া থাকি। অতএব, অমুক কাষের লোক নয়, অমুক কাযের লোক, এ সব কথা বাজে কথামাত্র। তুমি কাষের লোক একভাবে, আমি আর এক ভাবে। এক প্রকৃতির লোক আছেন, তাহাদিগকে যদি বলা যায়, এক পায় দাড়াই থাকিলে সত্য পাইবে, তবে তিনি এক পায়েই দাড়াইয়া ←8