পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰহ্মদর্শন । বুঝেন এবং স্পষ্ট ভাষাতেই উহার উল্লেখ করিয়৷ থাকেন বটে, কিন্তু সকলেই বোধ হয়, একই ভ্রমে পড়িয়াছেন, তাহারা সকলেই হৃদয়ের দ্বারা, ভাবের দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকেন। জগতে দুঃখ আছে, অতএব সংসার ত্যাগ কর—ইহা খুব শ্রেষ্ঠ উপদেশ এবং একমাত্র উপদেশ, সংশয় নাই। সংসার ত্যাগ কর । সত্য, জানিতে হইলে অসত্য ত্যাগ করিতে_হইবে-ভাল_প্রাইতে হইলে ३मा ত্যাগ করিতে হইবে, জীবন প্রাইতে হইলে মৃত্যু ত্যাগ করিতে ইষ্টবে, এ সম্বন্ধে কোন মতদ্বৈধ হইতে পারে না। কিন্তু যদি এই মতবাদের ইহাই তাৎপৰ্য্য হয় যে, পঞ্চেস্ক্রিয়গত জীবন—আমরা যাহাকে জীবন বলিয়া জানি, আমরা জীবন বলিতে যাহা বুঝি, তাহাকে ত্যাগ করিতে হইবে, তবে আর আমাদের থাকে কি ? যদি আমরা উহা ত্যাগ করি, তবে আমাদের আর কিছুই থাকে না । যখন আমরা বেদান্তের দার্শনিক অংশের আলোচনা করিব, তখন আমরা এই তত্ত্ব আরও উত্তমরূপে বুঝিব, কিন্তু আপাততঃ আমি কেবল ইহাই বলিতে চাই যে, বেদান্তেই কেবল এই সমস্তার যুক্তিসঙ্গত মীমাংস পাওয়া যায়। এখানে কেবল বেদান্তের প্রকৃত উপদেশ কি, তাছাই বলিব—বেদান্ত শিক্ষা দেন, জগৎকে ব্ৰহ্মস্বরূপে দর্শন করিতে । বেদান্ত, প্রকৃত পক্ষে, জগৎকে একেবারে উড়াইয়া দিতে চাহে না। বেদান্তে যেমন চূড়ান্ত বৈরাগ্যের উপদেশ আছে, আর কোথাও তদ্রুপ নাই, কিন্তু ঐ বৈরাগ্যের অর্থ আত্মহত্য নহে— নিজেকে শুকাইয় ফেলা নহে। বেদান্তে বৈরাগ্যের অর্থ জগতের ર૭ છે