পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰহ্মদর্শন । রাশি ও ইস্ক্রিয়গণ দ্বারা পরিচালিত, সে কার্য্যের কি বুঝে ? সেই কাষ করিতে পারে, যে কোনরূপ বাসন দ্বারা, কোনরূপ স্বার্থপরতা দ্বারা পরিচালিত নহে । তিনিই কাৰ্য্য করিতে পারেন, যাহার অন্য কোন কামনা নাই। তিনিই কাষ করিতে পারেন যাহার কার্য্য হইতে কোন লাভের প্রত্যাশা নাই । একখানি চিত্রকে কে অধিক সম্ভোগ করে ? চিত্র-বিক্রেতা, না চিত্রদ্রষ্টা ? বিক্রেতা তাহার হিসাব কিতাব লইয়াই ব্যস্ত, তাহার কত লাভ হইবে ইত্যাদি চিন্তাতেই সে মগ্ন। ঐ সকল বিষয়ই কেবল তাহার মাথায় ঘুরিতেছে। সে কেবল নিলামের হাতুড়ির দিকে লক্ষ্য করিতেছে, ও দর কত চড়িল,তাহ শুনিতেছে। দর কিরূপ তাড়াতাড়ি উঠতেছে, তাহা গুনিতেই সে ব্যস্ত । চিত্র দেখিয়া সে আনন্দ উপভোগ করিবে কখন ? তিনিই চিত্র সম্ভোগ করিতে পারেন, যাহার কোনরূপ বেচা কেনার মতলব নাই। তিনি ছবিখানির দিকে চাহিয়া থাকেন, আর অতুল আনন্দ উপভোগ করেন। এইরূপ সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই একটী চিত্রস্বরূপ , যখন বাসনা একেবারে চলিয়া যাইবে, তখনই লোকে জগৎকে সম্ভোগ করিবে, তখন আর এই কেন বেচার ভাব, এই ভ্ৰমাত্মক স্বামিত্বভাব থাকিবে না। তখন কার্জদাতা নাই, ক্রেতা নাই, বিক্রেতাও নাই, জগৎ তখন একখানি সুন্দর ছবিস্বরূপ। ঈশ্বর সম্বন্ধে নিম্নোক্ত কথার মত মুন্দর কথা আমি আর কোথাও পাই নাই – 'সেই মহৎ কবি, প্রাচীন কবি-সমুদয় জগৎ তাহার কবিতা, উহ। অনন্ত আনন্দোচ্ছাসে লিখিত, আর নানা শ্লোকে, নানা ছন্দে, নান তালে প্রকাশিত ’ বাসনাত্যাগ হইলেই, আমরা ঈশ্বরের এই ২৬৭ :