পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰহ্মদর্শন { এ সম্বন্ধে আবার এক্ষণে নানা তর্ক উঠতেছে। যাহা বলা হইল, তাহ মুখে বলা ত খুব সহজ। ছেলেবেলা হইতেই শুনিয়া আসিতেছি—সৰ্ব্বত্র ব্ৰহ্মবুদ্ধি কর—সব ব্রহ্মময় হইয়া যাইবে— তখন সমুদয় বিষয় প্রকৃতরূপে সম্ভোগ করিতে পারিবে, কিন্তু যখনই আমি সংসারক্ষেত্রে মামিয়া গুটিকতক ধাক্কা খাই, অমনি আমার ব্রহ্মবুদ্ধি সব উড়িয়া যায়। আমি রাস্তায় ভাবিতে ভাবিতে চলিয়াছি, সকল মানুষেই ঈশ্বর বিরাজমান—একজন বলবান লোক জাসিয়া আমায় ধাক্কা দিল, অমনি চিৎপাৎ হইয়া পড়িলাম। ঝ করিয়া উঠিলাম, রক্ত মাথায় চড়িয়া গেল—মুষ্টি বন্ধ হইল— বিচার শক্তি হারাইলাম। একেবারে উন্মত্ত হইয়া উঠিলাম । স্মৃতিভ্রংশ হইল—সেই ব্যক্তির ভিতর ঈশ্বর না দেখিয়া আমি ভূত দেখিলাম । জন্মিবামাত্রই উপদেশ পাইয়াছি, সৰ্ব্বত্র ঈশ্বর দর্শন কর, সকল ধৰ্ম্মই ইহা শিখাইয়াছে—সৰ্ব্ববস্তুতে, সৰ্ব্বপ্রাণীর অভ্যন্তরে, সৰ্ব্বত্র ঈশ্বর দর্শম কর। নিউ টেষ্টামেণ্টে বীশুখ্ৰীষ্টও এ বিষয়ে স্পষ্ট উপদেশ দিয়াছেন। সকলেই আমরা এই উপদেশ পাইয়াছি—কিন্তু কাযের বেলায়ই আমাদের গোল আরম্ভ হয় । ঈসপ-রচিত আখ্যামাবলীর ভিতর একটী গল্প আছে। এক বৃহৎকালুম্বন্দর হরিণ হ্রদে মিজ প্রতিবিম্ব দেখিয় তাহার শাবককে বলিতেছিল, “দেখ, আমি কেমন বলবাম, আমার মস্তক অবলোকন কর—উছ, কেমন চমৎকার, আমার হস্তপদ অবলোকন কর; উছারা কেমন দৃঢ় ও মাংসল, আমি কত শীঘ্ৰ দৌড়াইতে পারি।” সে এ কথা বলিতেছিল, এমন সময়ে দূর হইতে কুকুরের ডাক শুনিতে পাইল। বাই গুণ, জমমি ক্রতপদে পলায়ন। অনেক ২৭১ :