পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । তাহার আর মোহ কিরূপে থাকিবে ? কিসে তাহার মোন্ত জন্মাইতে পারে ? তিনি সকল বস্তুর আভ্যন্তরিক সত্য জানিয়, ছেন, সকল বস্তুর রহস্ত জানিয়াছেন। র্তাহার পক্ষে আর দুঃখ কিরূপে থাকিবে ? তিনি আর কি বাসনা করিবেন ? তিনি সকল বস্তুর মধ্যে প্রকৃত সত্য অন্বেষণ করিয়া ঈশ্বরে পহুছিয়াছেন, যিনি জগতের কেন্দ্রস্বরূপ, যিনি সকল বস্তুর একত্বস্বরূপ ; উচাট অনন্ত সত্তা, অনন্ত জ্ঞান ও অনন্ত আনন্দ। সেখানে মৃত্যু নাই, রোগ নাই, দুঃখ নাই, শোক নাই, অশান্তি নাই। আছে কেবল পূর্ণ একত্ব-পূর্ণ আনন্দ। তখন তিনি কাহার জন্য শোক করিলেন ? বাস্তবিক সেই কেন্দ্রে, সেই পরম সত্যে প্রকৃতপক্ষে মৃত্যু নাই, দুঃখ নাই, কাহারও জন্য শোক করিবার নাই, কাহারও জন্য দুঃখ করিবার নাই । ‘স পৰ্য্যগাছুক্রমকায়মত্রণমস্নাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধং । কবিমনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভর্যাথাতথ্যতোহখান ব্যদধাচ্ছাশ্বতীভা

  • 。 সমাভ্যঃ ॥’ ঈশ-উপ। ৮ শ্লোক। তিনি চতুর্দিক বেষ্টন করিয়া আছেন, তিনি উজ্জ্বল, দেহশূন্য ব্ৰণপুন্য, স্নায়ুশূন্য, পবিত্র ও নিষ্পাপ, তিনি কবি, মনের নিয়ন্ত, সকলের শ্রেষ্ঠ ও স্বয়ম্ভু ; তিনি চিরকালের জন্য যথাযোগ্যরূপে সকলের কাম্যবস্তু বিধান করিতেছেন। যাহার এই অবিস্তামর জগতের উপাসনা করেন, তাহার অন্ধকারে প্রবেশ করে। যাহার এই জগৎকে ব্রহ্মের ন্যায় সত্যজ্ঞান করিয়া উহার উপাসনা করে, তাহার অন্ধকারে ভ্রমণ করিতেছে, কিন্তু যাহারা চিরজীবন এই সংসারের উপাসনা করে, উহা হইতে উচ্চতর আর কিছুই লাই

२१७