পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। আমি তোমাদিগকে আর একখানি উপনিষদ হইতে পাঠ করিয়ু গুনাইব। ইহা অতি সরল অথচ অতিশয় কবিত্বপূর্ণ। ইহার নাম কঠোপনিষদ। তোমাদের অনেকে বোধ হয়, সার এডুইন আর্ণন্ত কৃত ইহার অনুবাদ পাঠ করিয়াছ। আমরা পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি, জগতের স্বষ্টি কোথা হইতে হইল, এই প্রশ্নের উত্তর বহির্জগৎ হইতে পাওয়া যায় নাই, সুতরাং এই প্রশ্নের মীমাংসার জন্য লোকের দৃষ্টি অন্তর্জগতে প্রধাবিত হইল। কঠোপনিষদে এই মানুষের স্বরূপ সম্বন্ধে অমুসন্ধান আরম্ভ হইয়াছে। পূৰ্ব্বে প্রশ্ন হইতেছিল, কে এই বাহাজগৎ স্বষ্টি করিল, ইহার উৎপত্তি কি করিয়া হইল, ইত্যাদি , কিন্তু এক্ষণে এই প্রশ্ন আসিল, মানুষের ভিতর এমন কি বস্তু আছে, যাহা তাহাকে জীবিত রাখিয়াছে, যাহী তাহাকে চালাইতেছে, এবং মৃত্যুর পরই বা মানুষের কি হয় ? পূৰ্ব্বে লোকে এই জড় জগৎ লইয়া ক্রমশঃ ইহার অন্তরালে যাইতে চেঃ। করিয়াছিল এবং তাহাতে পাইয়াছিল খুব জোর জগতের একজন শাসনকৰ্ত্তী—একজন ব্যক্তি—একজন মনুষ্য মাত্র ; হইতে পারেমামুষের গুণরাশি অনন্ত পরিমাণে বৰ্দ্ধিত করিয়া তাহাতে আরোপিত হইয়াছে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তিনি একটি মনুষ্যমাত্র। এই মীমাংস কখনই পূর্ণসত্য হইতে পারে না। খুব জোর আংশিক সত্য বলিতে - ૨૧ક્ત