পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আমাদের সমুদয় জগৎ অবস্থিত, এবং আমাদের ঈশ্বর আমাদের এই ক্ষুদ্র জগৎসমস্তার মীমাংস মাত্র। কিন্তু তাহা কখন সমুদয় সমস্তার মীমাংসা হইতে পারে না। ইহাত অসম্ভব ব্যাপার। যথার্থ বলিতে গেলে, উহা কোন মীমাংসাই নহে। কিন্তু মানুষ ত চুপ করিয়া থাকিতে পারে না। মানুষ চিন্তাশীল প্রাণী—সে এমন এক মীমাংসা করিতে চায়, যাহাতে জগতের সকল সমস্তার মীমাংস হইয়া যাইবে । প্রথমে এমন এক জগৎ আবিষ্কার কর, এমন এক পদার্থ আবিষ্কার কর, যাহা সকল জগতের এক সাধারণ তত্ত্বস্বরূপ— যাহাকে আমরা ইঞ্জিয়গোচর করিতে পারি বা ন পারি, কিন্তু যাহাকে যুক্তিবলে সকল জগতের ভিত্তিভূমি, সকল জগতের ভিতরে মণিগণমধ্যস্থ সুত্রস্বরূপ বলিয়া বিবেচনা করা যাইতে পারে। যদি আমরা এমন এক পদার্থ আবিষ্কার করিতে পারি, যাহাকে ইঞ্জিয়গোচর করিতে না পারিলেও, কেবল অকাট্য যুক্তিবলে উদ্ধ অধঃ মধ্যে সৰ্ব্বপ্রকার লোকের সাধারণ অধিকার, সৰ্ব্বপ্রকার অস্তিত্বের ভিত্তিভূমি বলিয়া সিদ্ধান্ত করিতে পারি, তাহা হইলে আমাদের সমস্ত কতকটা মীমাংসোন্মুখ হইল বলা যাইতে পারে, সুতরাং আমাদের দৃষ্টিগোচর এই জ্ঞাত জগৎ হইতে এই মীমাংসা পাইবার সম্ভাবনা নাই, ইহা স্থির সিদ্ধান্ত, কারণ, ইহ সমগ্র ভাবের কেবল অংশবিশেষমাত্র । , অতএব এই সমস্তার মীমাংসার একমাত্র উপায় জগতের অভ্যন্তরদেশে প্রবেশ। অতি প্রাচীন মননশীল মহাজমেরা বুঝিতে পারিয়া Հեe . -