পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি । না। যতদিন এই সকল বৃথা বিষয়-বাসন তুমুল কোলাহল করিতেছে, যতদিন উহার প্রতিমুহূর্তে আমাদিগকে যেন বাহিরে টানিয়া লইয়া যাইতেছে—লইয়া গিয়া আমাদিগকে বাহ প্রত্যেক বস্তুর, এক বিন্দু রূপের, এক বিন্দু আস্বাদের, এক বিন্দু স্পর্শের দাস করিতেছে, ততদিন আমরা যতই আমাদের জ্ঞানের গরিম! করি না কেন, সত্য কিরূপে আমাদের হৃদয়ে প্রকাশিত : হুইবে ? যম বলিতেছেন, “যে আত্মার সম্বন্ধে, যে পরলোকতত্বসম্বন্ধে তুমি প্রশ্ন করিয়াছ, তাহ বিত্তমোহে মূঢ় বালকের হৃদয়ে প্রতিভাত হয় না। এই জগতেরই অস্তিত্ব আছে, পরলোকের অস্তিত্ব নাই, এরূপ চিন্তা করিয়া তাহারা পুনঃ পুনঃ আমার বশে আসে ।” আবার এই সত্য বুরাও বড় কঠিন। অনেকে ক্রমাগত, এই বিষয় শুনিয়াও বুঝিতে পারে না, এ বিষয়ের বক্তাও আশ্চৰ্য্য হওয়া আবগুক, শ্রোতাও আশ্চৰ্য্য হওয়া আবশ্বক। গুরুরও অদ্ভূতশক্তিসম্পন্ন হওয়া আবগুক, শিষ্যেরও তাহাই হওয়া আবশ্যক। মনকে আবার বৃথা তর্কের দ্বারা চঞ্চল করা উচিত নহে। কারণ, পরমাৰ্ধতৰ তর্কের বিষয় নহে, প্রত্যক্ষের বিষয়। আমরা বরাবর শুনিয়া আসিতেছি, প্রত্যেক ধর্মেরই একটী অঙ্গ আছে, যাহাতে বিশ্বাসের উপর খুব ঝোক দেয়। আমরা অন্ধবিশ্বাস করিতে শিক্ষা পাইয়াছি। অবশ্য এই অন্ধবিশ্বাস যে মন জিনিষ, তাহাতে কোন সংশয় মাই, কিন্তু এই অন্ধবিশ্বাস ব্যাপারটাকে একটু তলাইয়া বুঝিলে দেখিব, ইহার পশ্চাতে একটা মহান সত্য ఇyS ..

  • 》总