পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আছে। যাহারা অন্ধবিশ্বাসের কথা বলে, তাহাদের বাস্তবিক উদ্দেশ্য এই অপরোক্ষানুভূতি—আমরা এক্ষণে যাহার আলোচনা করিতেছি। মনকে বৃথা তর্কের দ্বারা চঞ্চল করিলে চলিবে না, কারণ, তর্কে কখন ঈশ্বরলাভ হয় না। ঈশ্বর প্রত্যক্ষের বিষয়, তর্কের বিষয় নহেন। সমুদয় তর্কই কতকগুলি সিদ্ধান্তের উপর স্থাপিত। এই সিদ্ধান্তগুলি ব্যতীত তর্ক হইতেই পারে না। আমরা পূৰ্ব্বেই যাহা সুনিশ্চিতরূপে প্রত্যক্ষ করিয়াছি, এমন কতকগুলি বিষয়ের মধ্যে তুলনার প্রণালীকে যুক্তি কহে। এই সুনিশ্চিত প্রত্যক্ষ বিষয়গুলি না থাকিলে মুক্তি চলিতেই পারে না। বাহজগৎ সম্বন্ধে যদি ইহা সত্য হয়, তৰে অন্তর্জগৎ সম্বন্ধেই বা তাহা না হইবে কেন ? আমরা পুনঃ পুনঃ এই ভ্রমে পড়িয়া থাকি আমরা জানি বহির্বিবষয় সমুদয়ই প্রত্যক্ষের উপর নির্ভর করে। বহির্বিবষয় কেহ বিশ্বাস করিয়া লইতে বলে না বা উহাদের মধ্যে সম্বন্ধবিষয়ক নিয়মবলী কোন যুক্তির উপর নির্ভর করে না, কিন্তু প্রত্যক্ষামুভূতির দ্বারা উহার লব্ধ হয়। আবার সমুদয় তর্কই কতকগুলি প্রত্যক্ষমুভূতির উপর স্থাপিত। রসায়নবিৎ কতকগুলি দ্রব্য লইলেন— তাহা হইতে আর কতকগুলি দ্রব্য উৎপন্ন হইল। ইহা একটা ঘটনা। আমরা উহা স্পষ্ট দেখি, প্রত্যক্ষ করি এবং উহাকে ভিত্তি করিয় রসায়নের সমুদয় বিচার করিয়া থাকি। পদার্থতত্ত্ববেত্তগণও তাহাই করিয়া থাকেন—সকল বিজ্ঞান সম্বন্ধেই এইরূপ । সৰ্ব্বপ্রকার জ্ঞানই কতকগুলি প্রত্যক্ষের উপর স্থাপিত। তাহদের উপর নির্ভর করিয়াই আমরা বিচার যুক্তি করিশ্ন থাকি। কিন্তু ఫిసెతి