পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। করিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক ; আর এই প্রত্যক্ষামুভূতিবিহীন হইলে উচ্চতম ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিং, যিনি অনর্গল ধৰ্ম্মবন্ধুত৷ করিতে পারেন, তাহার সহিত অতি সামান্য অজ্ঞ জড়বাদীর কোন প্রভেদ নাই। আমরা সকলেই নাস্তিক, আমরা তাহ মানিয়া নই না কেন ? কেবল বিচারপূর্বক ধৰ্ম্মের সত্যসকলে সন্মতিদান করিলে ধাৰ্ম্মিক হওয়া যায় না। একজন খ্ৰীশ্চিয়ান বা মুসলমান অথবা অন্ত কোন ধৰ্ম্মাবলম্বীর কথা ধর । খ্ৰীষ্ট্রের সেই পৰ্ব্বতে ধৰ্ম্মোপদেশদানের কথা মনে কর। যে কোন ব্যক্তি ঐ উপদেশ কার্য্যে পালন করে, সে তৎক্ষণাৎ দেবতা হইয়া যায়, সিদ্ধ হইয়া ধা, তথাপি কথিত হইয়া থাকে, পৃথিবীতে এত কোটি ঐশ্চিয়ান আছে। তুমি কি বলিতে চাও, ইহারা সকলেই খ্ৰীশ্চিয়ান ? বাস্তবিক ইহার অর্থ এই, ইহার কোন না কোন সময়ে এই উপদেশানুযায়ী কাৰ্য্য করিবার চেষ্টা করিতে পারে। কোটি লোকের ভিতর একটী প্রকৃত খ্ৰীশ্চিয়ান আছে কিনা সন্দেহ । ভারতবর্ষেও এইরূপ কথিত হইয়া থাকে, ত্রিশকোটি বৈদাস্তিক আছেন। যদি প্রত্যক্ষামুভূতিসম্পন্ন ব্যক্তি সহস্রে একজনও থাকিতেন, তবে এই জগৎ পাঁচ মিনিটে আর এক আকার ধারণ করিত। আমরা সকলেই নাস্তিক, কিন্তু যে ব্যক্তি উৎ স্পষ্ট স্বীকার করিতে যায়, আমরা তাহার সহিতই বিবাদে প্রবৃত্ত হইয় থাকি। আমরা সকলেই অন্ধকারে পড়িয়া রহিয়াছি। ধৰ্ম্ম আমাদের কাছে যেন কিছুই নয়, কেবল বিচারলদ্ধ কতকগুলি মতের অনুমোদন মাত্র, কেবল কথার কথা-অমুক বেশ ভাল বলিতে কহিতে পারে, অমুক পারে না। ইহাই আমাদের ধৰ্ম্ম ఫిస్సెలి