পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । (Woden) দেবতার সম্মুখে উপবেশন করিয়া থাকে। কিয়ৎকাল পরে বন্যবরাহশীকার আরম্ভ হয়। পরে তাহারা আপনারাই যুদ্ধ করে ও পরস্পরকে খণ্ড বিখও করিয়া ফেলে। কিন্তু এরূপ যুদ্ধের খানিকক্ষণ পরেই কোন না কোনরূপে ইহাদের ক্ষতসকল আরোগ্য হইয়া যায়—তাহারা তখন একুট হলে (hall) গিয়া সেই বরাহের মাংস দগ্ধ করিয়া ভোজন ও আমোদ প্রমোদ করিতে থাকে। তার পর দিন আবার সেই বরাহটী জীবিত হয়, আবার সেইরূপ শীকারাদি হইয়া থাকে। এ আমাদের ধারণারই অনুরূপ, তবে আমাদের ধারণাটা না হয় একটু চাকচিক্যশালী। আমৱা সকলেই এইরূপ শূকরশীকার করিতে ভালবাসি—আমরা এমন একস্থানে যাইতে চাহি, যেখানে এই ভোগ পূর্ণমাত্রায় ক্রমাগত চলিবে, যেমন ঐ নরওয়েবাসীরা কল্পনা করে যে, যাহার স্বর্গে যায়, তাহারা প্রতিদিন বন্যশূকর শীকার করিয়া উহা খাইয়া থাকে আবার পরদিন উহ পুনরায় বাচিয় উঠে। দর্শনশাস্ত্রের মতে নিরপেক্ষ অপরিণামী আনন্দ বলিয়া জিনিস আছে,সুতরাং আমরা সাধারণতঃ যে ঐহিক সুখভোগ করিয়া থাকি, তাহার সঙ্গে এ সুখের কোন সম্বন্ধ নাই। কিন্তু আবার বেদান্তই কেবল প্রমাণ করেন যে, এই জগতে যাহা কিছু আনন্দকর আছে, তাহা সেই প্রকৃত আনন্দের অংশমাত্র, কারণ, সেই ব্ৰহ্মানদেরই বাস্তবিক অস্তিত্ব আছে। আমরা প্রতি মুহূর্বেই সেই ব্ৰহ্মান উপভোগ করিতেছি, কিন্তু উহাকে ব্ৰহ্মানন্দ বলিয়া জানি না। যেখানেই দেখিবে, কোনরূপ আনন্দ, এমন কি, চোরের চৌর্যকাৰ্য্যেও যে আনন, তাহাও বাস্তবিক সেই পূর্ণানন্দ কেবল ૨obr