পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। উছ কতকগুলি বাহবস্তুর সংস্পর্শে মলিন হইয়াছে মাত্র । কিন্তু উহার উপলব্ধি করিতে হইলে প্রথমে আমাদিগকে সমুদয় ঐহিক সুখভোগ ত্যাগ করিতে হইবে। উহা ত্যাগ করিলেই প্রকৃত আনন্দের সাক্ষাৎকার লাভ হইবে। প্রথমে অজ্ঞান মিথ্য সমুদয় ত্যাগ করিতে হইবে, তবেই সত্যের প্রকাশ হইবে। যখন আমরা সত্যকে দৃঢ়ভাবে ধরিতে পারিব, তখন প্রথমে আমরা যাহা কিছু ত্যাগ করিয়াছিলাম, তাহাই আর একরূপ ধারণ করিবে, নূতন আকারে প্রতিভাত হইবে, তখন সমুদয়ই—সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই—ব্রহ্মময় হইয়া যাইবে । তখন সমুদয়ই— উন্নতভাব ধারণ করিবে, তখন আমরা সমুদয় পদার্থকে নূতন আলোকে বুঝিব। কিন্তু প্রথমে আমাদিগকে সেইগুলি ত্যাগ করিতে হইবেই; পরে সত্যের অন্ততঃ এক বিন্দু আভাস পাইলে আবার তাহাদিগকে গ্রহণ করিব, কিন্তু অন্যরূপে-ব্ৰহ্মাকারে পরিণতরূপে। অতএব আমাদিগকে মুখ দুঃখ সব ত্যাগ করিতে হইবে। এগুলি সেই প্রকৃত বস্তুর, তাহাকে সুখই বল আর দুঃখই বল, বিভিন্ন ক্রমমাত্র ৷ ‘বেদ সকল যাহাকে ঘোষণা করেন, সকল প্রকার তপস্তা র্যাহার প্রাপ্তির নিমিত্ত অনুষ্ঠিত হয়, যাহাকে লাভ করিবার জন্য লোকে ব্রহ্মচর্য্যের অনুষ্ঠান করে, আমি সজেপে তাহার সম্বন্ধে তোমায় বলিব, তিনি ওঁ । বেদে এই ওঁকারের অতিশয় মহিমা ও পবিত্রত ব্যাখ্যাত আছে। এক্ষণে যম নাচিকেতার প্রশ্ন—মামুষের মৃত্যুর পর তাহার কি অবস্থা হয়,—তাহার উত্তর দিতেছেন। “সদাচৈতন্যবান আত্মা কখন মরেন না, কখনও জন্মানও না, ইনি কোন কিছু হইতে উৎপন্ন శిఖిన