পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । অবস্থিতের স্থায়,—সেই অনন্ত ও সৰ্ব্বব্যাপী আত্মাকে এইরূপ জানিয়া জ্ঞানী ব্যক্তিরা একেবারে দুঃখপূক্ত হন। এই আস্থাকে বকৃতাশক্তি, তীক্ষ মেধা বা বেদাধ্যয়ন দ্বারা লাভ করা যায় না ।” এই যে ‘বেদের দ্বারা লাভ করা যায় না, একথা বলা ঋষিদের পক্ষে বড় সাহসের কৰ্ম্ম। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, ঋষির চিন্তাজগতে বড় সাহসী ছিলেন, তাহারী কিছুতেই থামিবার পাত্র ছিলেন না । হিন্দুরা বেদকে যেরূপ সন্মানের চক্ষে দেখিতেন, খ্ৰীশ্চিয়ানরা বাইবেলকে কখন সেরূপ ভাবে দেখেন নাই। খ্ৰীশ্চিয়ানের ঈশ্বরবাণীর ধারণা এই, কোন মঞ্জস্য ঈশ্বরামুপ্ৰাণিত হইয়া উহ। লিথিয়াছে, কিন্তু হিন্দুদের ধারণা—জগতে যে সকল বিভিন্ন পদার্থ রঙ্গিয়াছে তাহার কারণ-বেদে ঐ ঐ বস্তুর নাম উল্লিখিত আছে । র্তাহাদের বিশ্বাস-বেদের দ্বারাই জগৎ স্বল্প হইয়াছে। জ্ঞান বলিতে যাহা কিছু বুঝায়, সবই বেদে আছে। যেমন স্বঃ মানব অনাদি অনন্ত, তেমনি বেদের প্রত্যেক শব্দই পবিত্র ও অনন্ত। স্মৃষ্টিকর্তার সমুদয় মনের ভাবই যেন এই গ্রন্থে প্রকাশিত । তাহার এইভাবে বেদকে দেখিতেন। এ কার্য্য নীতিসঙ্গত কেন ? না, বেদ উহা বলিতেছেন। এ কার্য্য অন্তায় কেন ? ন, বেদ বলিতেছেন। বেদের প্রতি প্রাচীনদিগের এতাদৃশী শ্রদ্ধা সত্তেও এই ঋষিগণের সত্যাঙ্গুসন্ধানে কি সাহস, দেখ। তাহার বলিলেন, ন, বারম্বার বেদপাঠ করিলেও সত্যলাভের কোন সম্ভাবনা নাই। অতএব য়েই আত্মা যাহার প্রতি প্রসন্ন হন, তাহার নিকটেই তিনি নিজস্বরূপ প্রকাশ করেন। কিন্তু ইহাতে এই এক আশঙ্কা উঠিতে পারে, যে ইহাতেওঁ তাহার পক্ষপাতিত - రిeవ