পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার মুক্তস্বভাব । বিরাজিত-প্রকৃত তত্ত্ব অস্তর্দেশে—পশ্চাতে। এইরূপে উভয় দিক্ হইতেই ক্রমশঃ সগুণত্ব চলিয়া যাইতে এবং নিগুণত্বের আবিভাব হইতে থাকে। সগুণ ঈশ্বরের ক্রমশঃ নিগুণ ধারণা— এবং সগুণ মাছুবেও নিগুৰ্ণ মাস্থ্যভাব আসিতে থাকে—তখন এই দুই দিকে বিভিন্ন ভাবে প্রবাহিত জুইট ধারার বিভিন্ন সর্ণনা পাওয়া যায়। আর উপনিষদ, এই দুইট ধারা ষে যে ক্রমে ক্রমশঃ অগ্রসর হইয়া মিলিয়া যায়, তাহার বর্ণনাতে পরিপূর্ণ এবং প্রত্যেক উপনিষদের শেষ কথা—তত্ত্বমসি । একমাত্র নিত্য আনন্দময় পুরুষই কেবল আছেন, আর সেই পরমতত্ত্বই এই জগৎরুপে বহুধা প্রকাশ পাইতেছেন। এইবার দার্শনিকেরা আসিলেন। উপনিষদের কার্য্য এইখানেই ফুরাইল-দার্শনিকেরা তাহার পর অস্তান্ত প্রশ্ন লইয়৷ বিচার আরম্ভ করিলেন। উপনিষদে মুখ্য কথাগুলি পাওয়া গেল—বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিচার দার্শনিকদিগের জন্ত রহিল। স্বভাবতঃই পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্ত হইতে নানা প্রশ্ন মনে উদিত হয়। যদিই স্বীকার করা যায় যে, এক নিগুণতত্ত্বই পরিদৃগুমান নানারূপে প্রকাশ পাইতেছে, ভাঙ্গু হইলে এই জিজ্ঞাস্ত—এক কেন বহু হইল ? এ সেই প্রাচীন প্রশ্ন—যাহা মানুষের অমার্জিত বুদ্ধিতে স্থল ভাবে উদয় হয়—জগতে দুঃখ অশুভ রহিয়াছে কেন ? সেই প্রশ্নটাই স্থলভাব পরিত্যাগ করিয়া স্বল্পমূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছে। এখন আর আমাদের বাহুবৃষ্টি, ঐজিরিক দৃষ্টি হইতে ঐ প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইতেছে না, এখন ভিতর হইতে দার্শনিক দৃষ্টিতে ঐ প্রশ্নের বিচার। কেন সেই এক তত্ত্ব বহু হইল ? অার উহার Soyo .