পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । গুৰুস্বভাব ও সৰ্ব্বজ্ঞ। আত্মার সম্বন্ধে জন্ম বা মৃত্যুর কথা বলা বাতুলতা মাত্র। আত্মা কখনও জন্মানও নাই, কখন মরিবেনও না, আর আমি মরিব বা মরিতে ভীত, এসব কেবল কুসংস্কারমাত্র। আর আমি ইহা করিতে পারি বা ইহা করিতে পারি না, ইহাও কুসংস্কার। আমি সব করিতে পারি। বেদান্ত মানুষকে প্রথমে আপনাতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে বলেন । যেমন জগতের কোন কোন ধৰ্ম্ম বলে, যে ব্যক্তি আপন হইতে পৃথক্ সগুণ ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার না করে, সে নাস্তিক সেইরূপ বেদগন্ত বলেন, যে ব্যক্তি আপনাকে আপনি বিশ্বাস না করে, সে নাস্তিক। তোমার আপন আত্মার মহিমায় বিশ্বাস স্থাপন না করাকেই বেদাস্ত নাস্তিকতা বলেন। অনেকের পক্ষে এই ধারণ। বড় ভয়ানক, তাহার কোন সন্দেহ নাই, আর আমরা অনেকেই বিবেচনা করি, ইহা কখনই অপরোক্ষ জ্ঞানের বিষয় হইবে না, কিন্তু বেদান্ত দৃঢ়ৰূপে বলেন যে, প্রত্যেকেই এই সত্য জীবনে প্রত্যক্ষ করিতে পারেন। এ বিষয়ে স্ত্রীপুরুষের ভেদ নাই বালক বালিকায় ভেদ নাই, জাতিভেদ নাই—আবালবৃদ্ধবনিতা জাতিধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে এই এই সত্য উপলব্ধি করিতে পারেন-কোন কিছুই ইহার প্রতিবন্ধক ইষ্টতে পারে না, কারণ, বেদাস্ত দেখাইয় দেন, উহ। পূৰ্ব্ব হইতেই ব্ৰহ্মাণ্ডের সমুদয় শক্তি পূৰ্ব্ব হইতেই আমাদের রহিয়াছে। আমরা আপনারাই নিজেদের চক্ষে হাত চাপা দিয়া ‘অন্ধকার’ ‘অন্ধকার’ বলিয়া চীৎকার করিতেছি । হাত সরাইয়ালও, দেখিবে তথায় আলোক প্রথম হইতেই বর্তমান ছিল। অন্ধকার কখনই v98S) -