পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । হইলেই ইহার অন্তরালে যে সত্য জীবন সদা বর্তমান, তাহ প্রকাশিত হইবে। এমন নহে যে মানুষ পূৰ্ব্বে এতটুকু পবিত্র ছিল, তাহা হইতে পবিত্রতর হইল। কিন্তু বাস্তবিক সে পূৰ্ব্ব হইতেই পূৰ্ণশুদ্ধ আছে—তাহার সেই পূৰ্ণশুদ্ধস্বভাব একটু একটু করিয়া প্রকাশ পায় মাত্র। আবরণ চলিয়া যায়, এবং আত্মার স্বাভাবিক পবিত্রত প্রকাশিত হইতে আরম্ভ হয়। এই অনন্ত পবিত্রত, মুক্তস্বভাব, প্রেম ও ঐশ্বৰ্য্য পূৰ্ব্ব হইতেই আমাদের বিদ্যমান। বৈদাস্তিক আরও বলেন, ইহা যে শুধু বনে অথবা পৰ্ব্বতগুহায় উপলব্ধি করা যাইতে পারে, তাহ নয়, কিন্তু আমরা পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, প্রথমে যাহারা এই সত্যসকল আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহারা বনে অথবা পৰ্ব্বত গুহায় বাস করিতেন না, অথবা সাধারণ লোকও ছিলেন না, কিন্তু যাহারা ( আমাদের বিশ্বাস করিবার বিশেষ কারণ আছে ) বিশেষরূপে কৰ্ম্মময় জীবন যাপন করিতেন, যাহাদিগকে সৈন্ত পরিচালনা করিতে হইত, যাহাদিগকে সিংহাসনে বসিয়া প্রজাবর্গের মঙ্গলামঙ্গল দেখিতে হইত—আবার তখনকার কালে রাজারাই সৰ্ব্বময় ছিলেন—এখনকার মত সাক্ষিগোপাল ছিলেন না। তথাপি তাহার এই সকল তত্ত্বের চিন্তার, উহাদিগকে জীবনে পরিণত করিবার এবং মানবজাতিকে শিক্ষা দিবার সময় পাইতেন। অতএব তাহদের অপেক্ষ আমাদের ঐ সকল তত্ব অনুভব করা ত অনেক সহজ; কারণ র্তাহাদের সঙ্গে তুলনায় আমাদের জীবন ত অনেকটা কৰ্ম্মশূন্ত। সুতরাং আমাদের যখন এত কাম কম, আমরা যখন তাহদের অপেক্ষ অনেকটা স্বাধীন, ‘H8(