পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । হইবে। মানুষ যখনই প্রথম জন্সিয়াছে, তখনই তাহার রোগ কি জানা গিয়াছে। সকলেই আপনার কি রোগ, তাহ জানে—অপর কাহাকেও তাহা বলিয়া দিতে হয় না। আমরা বহির্জগতের সমক্ষে কপটতাচরণ করিতে পারি, কিন্তু আমাদের অন্তরের অন্তরে আমরা আমাদের দুর্বলতা জানি। কিন্তু বেদান্ত বলেন, কেবল তুৰ্ব্বলতা স্মরণ করাইয়া দিলে বড় উপকার হইবে ন—তাহাকে ঔষধ দাও—আর মানুষকে কেবল সৰ্ব্বদা রোগগ্ৰস্ত ভাবিতে বলা রোগের ঔষধ নহে, রোগ প্রতীকারের হেতু নহে। মানুষকে সৰ্ব্বদ তাহার দুৰ্ব্বলতার বিষয় ভাবিতে বলা তাহার দুৰ্ব্বলতার প্রতীকর নহে-তাহার বল স্মরণ করাইয় দেওয়াই প্রতীকারের উপায়। তাহার মধ্যে যে বল পুৰ্ব্ব হইতেই অবস্থিত, তাহার বিষয় স্মরণ করাইয়া দাও। মানুষকে পাপী না বলিরা বেদান্ত বরং ঠিক বিপরীত পথ ধরেন এবং বলেন, ‘তুমি পূর্ণ ও শুদ্ধস্বরূপ—যাহাকে তুমি পাপ বল, তাহা তোমাতে নাই। উহার তোমার খুব নিম্নতম প্রকাশ ; পার যদি তবে উচ্চতরভাবে আপনাকে প্রকাশিত কর। একটা জিনিষ আমাদের মনে রাখা উচিত—তাহ এই যে, আমরা সবই পারি। কখনও না বলিও না, কখনও পারি না, বলিও না। ওরূপ কখনও হইতেই পারে না, কারণ, তুমি অনন্তস্বরূপ। তোমার স্বরূপের তুলনায় দেশকালও কিছুই নহে। তোমার-ব্লাহ ইচ্ছ, তাহাই করিতে পার, তুমি সৰ্ব্বশক্রিয়ান। - অবহু যাহা বলা হইল, তাহ নীতির মূলস্বত্র মাত্র। আম দিগকে মতবাদ হইতে নামিয়া আসিয়া জীবনের বিশেষ বিশেষ অব স্থায় ইহা প্রয়োগ করিতে হইবে। আমাদিগকে দেখিতে হইবে, ଏୁଷ୍ଣ