পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । বলিতেছ? আপাতপ্রতীয়মান এই অবনতির পশ্চাতে কি রহিয়াছে, তাহা তুমি কি জান ? তোমার ভিতরে কি আছে, তাহা ভূমি কি জান ? তোমার পশ্চাতে শক্তি ও আনন্দের অপার সমুদ্র রহিয়াছে । ‘আত্মা বারে শ্রোতব্যঃ”—এই আত্মার কথা প্রথমে শুনিতে হইবে। দিন রাত্রি শ্রবণ কর যে, তুমিই সেই আত্মা। দিন রাত্রি উহা আওড়াইতে থাক, যে পর্য্যন্ত না ঐ ভাব তোমার প্রতি রক্তবিন্দুতে, প্রতি শিরাধমনীতে খেলিতে থাকে, যে পর্যন্ত না উহ। তোমার মজ্জাগত হইয়া যায়। সমুদয় দেহটই ঐ এক আদর্শের ভাবে পূর্ণ করিয়া ফেল—“আমি অজ, অবিনাশী, আনন্দময়, সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তিমান, নিত্য, জ্যোতিৰ্ম্ময় আত্ম-দিবারাত্র ইহা চিন্তু কর—চিন্তা করিতে থাক, যে পৰ্য্যন্ত না উহা তোমার প্রাণে প্রাণে গাথিয়া যায়। উহার ধ্যান করিতে থাক—ঐ ভাবে বিভোর হইলেই তুমি প্রকৃত কৰ্ম্মে সক্ষম হইবে। হৃদয় পূর্ণ হইলে মূৰ কথা বলে–হৃদয় পূর্ণ হইলে হাতও কায করিয়া থাকে। স্বতরাং ঐরূপ অবস্থায়ই যথার্থ কার্য্যে সক্ষম হইবে। আপনাকে ঐ আদর্শের ভাবে পূর্ণ করিয়া ফেল-যাহা কিছু কর, পূর্বে উহার সম্বন্ধে উত্তমরূপে চিন্তা কর। তখন ঐ চিন্তাশক্তিপ্রভাবে তোমার সমুদয় কৰ্ম্মই পরিবর্তিত হইয়া উন্নত দেবভাবাপন্ন হইল। বাইবে। যদি জড় শক্তিশালী হয়, তবে চিন্ত সৰ্ব্বশক্তিমান। সেই চিন্তা, সেই ধ্যান লইয়া আইস, আপনাকে নিজের সর্বশক্তিমত্ত ও মহবের ভাবে পূর্ণ করির ফেল। কুসংস্কারপূর্ণ ভাৰ তোমাদের মাথায় যদি ঈশ্বরেচ্ছায় মোটেই প্রবেশ না করিত, o66: