পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানধোগ । শিখায়ও না, কিন্তু সেন্টপল যেমন রোমকগণকে বলিয়াছিলেন, তরূপ বলে, র্যাহাকে তোমরা অজ্ঞেয় মনে করিয়া উপাসন করিতেছ, আমি তাহার সম্বন্ধেই তোমায় শিক্ষা দিতেছি। আমি এই চেয়ারখানির জ্ঞানলাভ করিতেছি, কিন্তু এই চেয়ারখানিকে জানিতে হইলে প্রথমে আমার আমি’র জ্ঞান হয়, তৎপরে চেয়ারটর জ্ঞান হয়। এই আত্মার ভিতর দিয়াই চেয়ারটা জ্ঞাত হয়। এই আত্মার মধ্য দিয়াই আমি তোমার জ্ঞানলাভ করি— সমুদয় জগতের জ্ঞান লাভ করি । অতএব আত্মাকে অজ্ঞাত বলা প্ৰলাপবাক্য মাত্র। আত্মাকে সরাইয়া লও—সমুদয় জগৎই উড়িয়া যাইবে—আত্মার ভিতর দিয়াই সমুদয় জ্ঞান আইসে– অতএব ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। ইহাই ‘তুমি - যাহাকে তুমি ‘আমি বল। তোমরা এই ভাবিয়া আশ্চৰ্য্য হইতে পার যে, আমার আমি আবার তোমার ‘আমি কিরূপে হইবে ? তোমরা আশ্চৰ্য্য বোধ করিতে পার, এই সান্ত ‘আমি কিরূপে অনন্ত অসীম স্বরূপ হইবে ? কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তাহাই ; সান্ত’ আমি কেবল ভ্রমমাত্র, গল্পকথামাত্র। সেই অনস্তের উপর যেন একটা আবরণ পড়িয়াছে আর উহার কতকাংশ এই “আমি’রূপে প্রকাশিত হইতেছে, কিন্তু উহা বাস্তবিক সেই অনন্তের অংশ। বাস্তবিক পক্ষে অসীম কখন সসীম হন না— ‘সসীম কথার কথা মাত্র। অতএব সেই আত্মা নর নারী, বালক বালিকা, এমন কি, পশু পক্ষী সকলেরই জ্ঞাত। তাহাকে না জানিয়া আমরা ক্ষণমাত্রও জীবন ধারণ করিতে পারি না। সেই সৰ্ব্বেশ্বর প্রভুকে না জানিয়া আমরা এক মুহূর্ত শ্বাসপ্রশ্বাস পর্যন্ত vునః