পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| } কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । কেলিতে পারি না, আমাদের গতি, শক্তি, চিন্তা, জীবন সকলই প্তাহারই পরিচালিত। বেদান্তের ঈশ্বর সর্ব পদার্থ অপেক্ষ অধিক কান্ত ; উহা কখন কল্পনাপ্রস্থত নহে। যদি ইহা প্রত্যক্ষ ঈশ্বর না হয়, তবে আর প্রত্যক্ষ ঈশ্বর কি –ঐশ্বর, যিনি সকল প্রাণীতে বিরাজিত, আমাদের ইঞ্জিয়গণ হইতেও অধিক সত্য ? আমি যাহাকে সম্মুখে দেখিতেছি, তাহ ইন্তে প্রত্যক্ষ ঈশ্বর আর কি দেখিতে চাও? কারণ, তুমিই তিনি, সেই সৰ্ব্বব্যাপী সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর, আর যদি বলি, তুমি তাহ ন, তবে আমি মিথ্যা কথা বলিতেছি। সকল সময়ে আমি ইহ উপলব্ধি করি বা না করি, তথাপি আমি ইহ জানি। তিনিই এক অখণ্ড বস্তুস্বরূপ, সৰ্ব্ববস্তুর সন্মিলনস্বরূপ ; সমুদয় প্রাণী ও সমুদয় অস্তিত্বের সত্যস্বরূপ। বেদান্তের এই সকল নীতিতত্ত্ব আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করিতে হইবে। অতএব একটু ধৈর্য্যাবলম্বন আবশ্বক। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, আমাদিগকে ইহা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করিতে হইবে—বিশেষরূপে জীবনের প্রত্যেক ঘটনায় কিরূপে উছ কার্য্যে পরিণত করা যায়, দেখিতে হইবে আর ইহাও দেখিতে হইবে, কিরূপে এই আদর্শ নিম্নতর আদর্শসমূহ হইতে ক্রমশঃ বিকশিত হইতেছে, কিরূপে এই একত্বের আদর্শ আমাদের পারিপার্থিক সমুদয় ভাব হইতে ধীরে ধীরে বিকশিত হইয়া ক্রমশঃ সাৰ্ব্বজনীন প্রেমরূপে পরিণত হইতেছে, আর এই সকল তত্ত্ব আলোচনায় আমাদের এই উপকার হইবে যে, আমরা আর নানাবিধ ভ্ৰমে পড়িব না। কিন্তু সমগ্র জগৎ ত আর ক্রমে ক্রমে নিম্নতম আদর্শ &X9>