পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । ২য় প্রস্তাব ! আমি ছান্দোগ্য উপনিষদ হইতে একটা গল্প পাঠ করিব—এক বালকের কিরূপে জ্ঞানলাভ হইয়াছিল। অবশু গল্পট প্রাচীন ধরণের বটে, কিন্তু উছার ভিতরে একটী সারতত্ত্ব নিহিত আছে। একটা অল্পবয়স্ক বালক তাহার মাতাকে বলিল, ‘মা, আমি বেদশিক্ষা করিতে যাইব, আমার পিতার নাম কি ও আমার কি গোত্র, তাহ বলুন।’ তাহার মাতা বিবাহিত রমণী ছিলেন না, আর ভারতবর্ষে অবিবাহিত রমণীর সন্তান সমাজে নগণ্যরূপে বিবেচিত—কোন কাৰ্য্যেই তাহার অধিকার নাই, বেদপাঠ করা ত দূরের কথা । তাই তাহার মাত বলিলেন, “আমি যৌবনে অনেকের পরিচা করিতাম, তদবস্থায় তোমায় লাভ করিয়াছি, সুতরাং আমি তোমার পিতার নাম এবং তোমার কি গোত্র, তাহ জানি না ; এইটুকু মাত্র জানি যে, আমার নাম জবালা।” বালক ঋষিগণের নিকট গমন করিল—সেখানে তাহাকে সেই প্রশ্নই জিজ্ঞাসিত হইল—সে ব্রহ্মচারী শিষ্য হইতে প্রার্থনা করিলে তাহারা জিজ্ঞাস করিলেন, তোমার পিতার নাম কি এবং তোমার কি গোত্র ? বালক মাতার নিকট যাহা গুনিয়াছিল, তাছাই আবৃত্তি করিল। \లిJS