পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবমে বেদান্ত । শরীরই সর্বশ্রেষ্ঠ অগ্নি আমরা এখানেও আবার ধৰ্ম্মকে কার্য্যে পরিণত করা যাইতেছে, ব্রহ্মকে নামাইয়া সংসারের ভিতর আনা হইতেছে, দেখিতেছি । আর এই সকল রূপক গল্পের ভিতর এই এক তত্ত্ব দেখিতেছি যে, মামুষের কৃত প্রতিম লোকের হিতকারী ও শুভকর হইতে পারে, কিন্তু উহা হইতে শ্রেষ্ঠ প্রতিম পূৰ্ব্ব হইতেই রহিয়াছে। যদি ঈশ্বর উপাসনা করিবার নিমিত্ত প্রতিমার আবগুক হয়, তাহা হইলে জীবন্ত মানব-প্রতিমা ত বৰ্ত্তমান রহিয়াছে । যদি ঈশ্বর উপাসনার জন্য মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিতে চাও, বেশ, কিন্তু পূৰ্ব্ব হইতেই উহা হইতে উচ্চতর, উহা হইতে মহত্তর মানবদেহরূপ মন্দির ত বর্তমান রহিয়াছে । আমাদের স্মরণ রাখা উচিত যে, বেদের দুই ভাগ-কৰ্ম্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ড। উপনিষদের অভু্যদয়ের সময়ে কৰ্ম্মকাণ্ড এত জটিল ও বদ্ধিতায়তন হইয়াছিল যে, তাহ হইতে মুক্ত হওয়া একরূপ অসম্ভব ব্যাপার হইয়া পড়িয়াছিল। উপনিষদে কৰ্ম্মকাও একেবারে পরিত্যক্ত হইয়াছে বলিলেই হয়, কিন্তু ধীরে ধীরে,আর প্রত্যেক কৰ্ম্মকাণ্ডের ভিতর একটী উচ্চতর, গভীরতর অর্থ দিবার চেষ্টা করা হইয়াছে। অতি প্রাচীনকালে এই সকল যাগ বজ্ঞাদি কৰ্ম্মকাণ্ড প্রচলিত ছিল, কিন্তু উপনিষদের যুগে জ্ঞানীগণের অস্থ্যুদয় হইল। তাহারা কি করিলেন ? আধুনিক সংস্কারকগণের ঠায় তাহার। যাগযজ্ঞাদির বিরুদ্ধে প্রচার করিয়া উহাদিগকে একেবারে মিথ্যা বলিয়া উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিলেন না, কিন্তু উহাদেরই উচ্চতর তাৎপৰ্য্য বুঝাইয়া দিয়া লোককে একটা ধরিবার জিনিষ দিলেন। - ©ዋ�