পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । তাহারা বলিলেন, অগ্নিতে হবন কর, অতি উত্তম কথা, কিন্তু এই পৃথিবীতে দিবারাত্র হবন হইতেছে। এই ক্ষুদ্র মন্দির রহিয়াছে ; বেশ, কিন্তু সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই যে আমার মন্দির, যেখানেই আমি উপাসনা করি না কেন, কিছুমাত্র ক্ষতি নাই। তোমরা বেদী নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাক—কিন্তু আমার পক্ষে জীবন্ত, চেতন মনুষ্যদেহরূপ বেদী রহিয়াছে এবং এই মনুষ্যদেহরূপ বেদীতে পূজা অন্ত অচেতন মৃত জড় আকৃতির পূজা হইতে শ্রেয়স্কর । এখানে আর একটী বিশেষ মত বর্ণিত হইতেছে । আমি ইহার অধিকাংশ বুঝি না। যদি তোমরা উহার ভিতর হইতে কিছু সংগ্ৰহ করিতে পার, তাই তোমাদের নিকট উপনিষদের ঐ স্থল পাঠ করিতেছি। যে ব্যক্তি ধ্যানবলে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া জ্ঞানলাভ করিয়াছে, সে যখন মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তখন সে প্রথমে অর্চি, তৎপরে দিন, ক্রমান্বয়ে শুক্লপক্ষ ও উত্তরায়ণ ছয় মাসে গমন করে ; ঐ মাসসকল হইতে বৎসরে, বৎসর হইতে স্থৰ্য্যলোকে, স্বৰ্য্যলোক হইতে চন্দ্রলোকে, চন্দ্রলোক হইতে বিদ্যুল্লোকে গমন করে। সেখানে একজন অমানব পুরুষ তাহাকে ব্রহ্মলোকে লইয়া যায়। ইহার নাম বোন। যখন সাধু ও জ্ঞানিদিগের মৃত্যু হয়, তাহারা এই পথ দিয়া গমন করেন। এই মাস বৎসর প্রভৃতি শব্দের অর্থ কি, কেহই ভাল করিয়া বুঝেন না। সকলেই স্ব স্ব কপোল-কল্পিত অর্থ করিয়া থাকেন, আবার অনেকে বলেন, এ সকল বাজে কথা মাত্র। এই চন্দ্রলোক সুৰ্য্যলোক প্রভৃতিতে যাওয়ার অর্থ কি ? আর এই যে অমানব পুরুষ আসিয়া বিদ্যুরোক - C) 8