পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । স্বর্গে বাগান আছে, তাহার নীচে নদী প্রবাহিত হইতেছে। আরবের মরুতে জল একটী অতি বাঞ্ছনীয় পদার্থ, এই জন্ত মুসলমানের স্বৰ্গকে সৰ্ব্বদাই জলপূর্ণ বলিয়। বর্ণনা করে। আমার যেখানে জন্ম, সেখানে বৎসরের মধ্যে ছয়মাস জল । আমি হয় ত স্বৰ্গকে শুষ্ক স্থান ভাবিব, ইংরাজেরাও তাহাই ভাবিবেন। সংহিতার এই স্বর্গ অনন্ত, মৃত ব্যক্তিরা তথায় গমন করিয়া থাকে। তাহারা তথায় সুন্দর দেহ লাভ করিয়া তাহদের পিতৃগণের সহিত অতি মুখে চিরকাল বাস করিয়া থাকে, সেখানে তাহাদের সহিত তাহাদের পিতামাতা স্ত্রী পুত্রাদির সাক্ষাৎ হয় আর তাহারা সৰ্ব্বাংশে এখানকারই মত, তবে অপেক্ষাকৃত অধিক মুখের জীবন যাপন করিয়া থাকে। তাহদের স্বর্গের ধারণা এই যে, এই জীবনে মথের যে সকল বাধা বিঘ্ন আছে, সব চলিয়া যাইবে, কেবল ইহার যাহা কিছু সুখকর অংশ তাহাই অবশিষ্ট থাকিবে। স্বর্গের এই ধারণ আমাদের খুব সুখকর বটে, কিন্তু মুখকর ও সত্য এ দুটা সম্পূর্ণ পৃথক পদার্থ। বাস্তবিক চরম সীমায় নী উঠিলে সত্য কখনও মুখকর হয় না। মনুষ্যস্বভাব বড় ইতিশীল । মানুষ কোন বিশেষ কাৰ্য্য করিতে থাকে, আর একবার তাহা আরম্ভ করিলে তাহা ত্যাগ করা তাহার পক্ষে কঠিন হইয়া দাড়ায়। মন নুতন চিন্তা আসিতে দিবে না, কারণ, উহা বড় কষ্টকর। অতএব আমরা দেখিতেছি, উপনিষদে পূৰ্ব্বপ্রচলিত ধারণার বিশেষ ব্যতিক্রম হইয়াছে। উপনিষদে কথিত হইয়াছে, এই সকল স্বৰ্গ, যেখানে মানুষ যাইয়। পিতৃলোকের সহিত বাস করে, তাহ ©ፃፃ