পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । কখন নিত্য হইতে পারে না, কারণ, নামরূপাত্মক বস্তুমাত্রই বিনাশশীল। যদি সাকার স্বর্গ থাকে, তবে কালে অবশ্য সেই স্বর্গের ধ্বংস হইবে। হইতে পারে, উহা লক্ষ লক্ষ বৎসর থাকিলে, কিন্তু অবশেষে এমন এক সময় আসিবে, যখন তাহার ধ্বংস হইবেই হইবে। আর এক ধারণা ইতিমধ্যে লোকের মনে উদয় হইয়াছে যে, এই সকল আত্মা আবার এই পুথিবীতে ফিরিয়া আসে আর স্বৰ্গ কেবল তাহদের শুভকৰ্ম্মের ফলভোগের স্থান মাত্র । আর এই ফলভোগ হইয়া গেলে তাহারা আবার আসিয়া পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। একটী কথা ইহা হইতে বেশ স্পষ্ট বোধ হইতেছে যে, মানুষ অতি প্রাচীনকাল হইতেই কাৰ্য্য-কারণ-বিজ্ঞান জানিত । পরে আমরা দেখিব, আমাদের দার্শনিকের দর্শন ও ন্যায়ের ভাষায় এই তত্ত্ব বর্ণনা করিতেছেন, কিন্তু এখানে একরূপ শিশুর অস্পষ্ট ভাষায় ইহা কথিত হইয়াছে। এই সকল গ্রন্থ পাঠ করিবার সময় তোমরা বোধ হয় ইহা লক্ষ্য করিয়াছ যে, এইগুলি সবই আন্তরিক অনুভূতি। যদি তোমরা জিজ্ঞাসা কর, ইহা কাৰ্য্যে পরিণত হইতে পারে কি না, আমি বলিব, ইহা অাগে কার্য্যে পরিণত হইয়াছে, তৎপরে দর্শনরূপে আবিভূত হইয়াছে। তোমরা দেখিতেছ, এই গুলি প্রথমে অনুভূত, পরে লিখিত হইয়াছে। সমুদয় ব্ৰহ্মাও প্রাচীন ঋষিগণের নিকট কথা বলিত। পক্ষিগণ র্ত্যহাদের সহিত কথা কহিত, পশুগণ কহিত, চন্দ্রস্থৰ্য্য তাহদের সহিত কথা কহিত । তাহার একটু একটু করিয়া সকল জিনিষ অনুভব করিতে লাগি লেন, প্রকৃতির অস্তস্তলে প্রবেশ করিতে লাগিলেন। তাহার চিন্তা দ্বারা বা দ্যায়বিচার দ্বারা উহা লাভ করেন নাই, কিম্বা ՏԳԵ