পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । অতএব এই মতে সমুদয় জগতে ভয়ানক পাপের স্রোত প্রবাহিত হইবে, একথা বলা উচিত নয়, যেন অপর মতে কখন লোককে অন্যায় দিকে লইয়া যায় না, যেন উহাতে সমস্ত জগৎকে রক্তপ্লাবনে ভাসাইয়া দেয় না, যেন উহাতে লোককে পরস্পর পৃথক করিয়া সাম্প্রদায়িকতার স্বষ্টি করে না ! আমার ঈশ্বরই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । প্রমাণ ? এস, উভয়ে যুদ্ধ করি—ইহাই প্রমাণ । দ্বৈতবাদ হইতে জগতে এই সমুদয় গোল আসিয়াছে। ক্ষুদ্র সঙ্কীর্ণ পথসকলে না গিয়া প্রশাস্ত উজ্জল দিবালোকে আইস। মহৎ অনন্ত আত্মা কি করিয়া সঙ্কীর্ণ ভাবে আবদ্ধ হইয়া থাকিতে পারে ? এই আলোকময় ব্রহ্মাও সম্মুখে, ইহার প্রত্যেক বস্তু আমাদের। আপন বাহু প্রসারিত করিয়া—সমুদয় জগৎকে প্রেমালিঙ্গন করিতে চেষ্টা কর । যদি কখন এরূপ করিবার ইচ্ছা অনুভব করিয়া থাক, তবেই তুমি ঈশ্বরকে অনুভব করিয়াছ । বুদ্ধদেবের জীবনচরিতের মধ্যে তোমাদের সেই অংশটা অঙ্গ স্মরণ আছে, তিনি কিরূপে উত্তরে দক্ষিণে, পূৰ্ব্বে পশ্চিমে, উপরে নিম্নে সৰ্ব্বত্র প্রেমচিন্তাপ্রবাহ প্রেরণ করিতেন, যতক্ষণ না সমুদয় জগৎ সেই মহান অনন্ত প্রেমে পূর্ণ হইয় ঘাইত। যখন সেইভা তোমাদের আসিবে, তখনই তোমাদের যথার্থ ব্যক্তিত্ব আসিবে। সমুদয় জগৎ তখন এক ব্যক্তি হইয়া যায়—ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিষের দিকে আর মন থাকে না। এই অনন্ত মুখের জন্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুখ পরিত্যাগ কর। এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দ লইয়া তোমার লাভ কি? বাস্তবিক কিন্তু ঐ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুখগুলিও তোমায় ছাড়িতে হয় না, কারণ, তোমাদের মনে থাকিতে পারে যে, পূৰ্ব্বেই আমরা দেখাই

  • ○brb"