পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । উড়িয়া যায়, দেহানুভূতি আর থাকে না। দেহঙ্কান দূর না হইলে কখন আত্মানুভূতি হয় না। গুণের অনুভূতি চলিয়া না গেলে বস্তুর অনুভব কেহই করিতে পারেন না। এইট পরিষ্কার করিয়া বুঝাইবার জন্ত অদ্বৈতবাদীদের প্রাচীন রজুদপের দৃষ্টান্ত গ্রহণ করা যাইতে পারে। যখন লোকে দড়িকে সাপ বলিয়া ভুল করে, তখন তাহার পক্ষে দড়ি উড়িয়া যায় আর যখন সে উহাকে যথার্থ দক্তি বলিয়া বোধ করে, তখন তাহার সর্পজ্ঞান কোথায় চলিয়া যায়, তখন কেবল দড়িটই অবশিষ্ট থাকে। কেবলমাত্র বিশ্লেষণপ্রণালী অনুসরণ করাতেই আমাদের এই দ্বিত্ব বা ত্রিত্বের অনুভূতি হইয়া থাকে। বিশ্লেষণের পর পুস্তকে উহ! লিখিত হইয়াছে। আমরা ঐ সকল গ্রন্থ পাঠ করিয়া অথবা উহাদের সম্বন্ধে শ্রবণ করিয়া এই ভ্ৰমে পড়িয়াছি যে, সত্যই বুকি আমাদের আত্মা ও দেহ উভয়েরই অনুভব হইয়া থাকে—বাস্তবিক কিন্তু তাহা কখন হয় না। হয় দেহ নয় আত্মার অনুভব হইয়া থাকে। উহা প্রমাণ করিতে কোন যুক্তির প্রয়োজন হয় না। নিজে মনে মনে ইহা পরীক্ষা করিতে পার। তুমি আপনাকে দেহশূন্ত আত্মা বলিয়া ভাবিতে চেষ্টা কর দেখি ; তুমি দেখিবে, ইহা একরূপ অসম্ভব আর যে অল্পসংখ্যক ব্যক্তি ইহাতে কৃতকাৰ্য্য হইবেন, তাহার দেখিবেন, যখন র্তাহার আপনাদিগকে আত্মস্বরূপ অনুভব করিতেছেন, তখন র্তাহীদের দেহুজ্ঞান থাকে না। তোমরা হয় ত দেখিয়াছ বা শুনিয়াছ, অনেক ব্যক্তি, বশীকরণ ( Hypnotism ) প্রভাব অথবা স্নায়ুরোগ 제 অন্ত কোন কারণে সময়ে সময়ে এক প্রকার বিশেষরূপ অবস্থা লাভ 8૨૨