পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আমাদের বন্ধনজালের স্বত্রমাত্র । একবার কোন শক্তিকে চালনা করিয়া দিলে তাহার পূর্ণ ফল আমাদিগকে ভোগ করিতে হয়। ইহাই কৰ্ম্মবিধান । এই স্বগ্নশরীরের পশ্চাতে সসীম জীবাত্মা রহিয়াছেন। এই জীবাত্মার কোন আকৃতি আছে কি না, ইঙ্গ অণু, বৃহৎ বা মধ্যম আকারের, এই লইয়া অনেক তর্ক বিতর্ক চলিয়াছে। কোন কোন সম্প্রদায়ের মতে ইহা অণু, অপরের মতে ইহা মধ্যম, এবং অন্তান্ত সম্প্রদায়ের মতে উহা বিভু। এই জীব সেই অনন্ত সত্তার এক অংশমাত্র, আর উহা অনন্তকাল ধরিয়া রহিয়াছে। উহা অনাদি, উহা সেই সৰ্ব্ববাপী সত্তার এক অংশ রূপে অবস্থান করিতেছে। উহা অনন্ত। আর উহা আপন প্রকৃত স্বরূপ, শুদ্ধভাব প্রকাশ করিবার জন্য নানাদেহের মধ্য দিয়া অগ্রসর হইতেছে। জীব যে অবস্থা হইতে আসিয়াছে, যে কার্য্যের দ্বারা, সে সেই অবস্থা হইতে পুনঃ পুনঃ প্রত্যাবৃত্ত হয়, তাহাকে অসৎ কাৰ্য্য বলে ; চিন্তাসম্বন্ধেও তদ্রুপ । আর যে কাৰ্য্যের দ্বারা যে চিন্তার দ্বারা, তাহার স্বরূপ প্রকাশের বিশেষ সাহায্য হয়, তাহাকে সৎকাৰ্য্য বা সচ্চিস্তা বলে। কিন্তু ভারতের অতি নিম্নতম দ্বৈতবাদী, এবং অতি উন্নত অদ্বৈতবাদী, সকলেরই এই সাধারণ মত যে, আত্মার সমুদয় শক্তি ও ক্ষমতা তাহার ভিতরেই রহিয়াছে—উহার অন্য কোথাও হইতে আইসে না । উহারা আত্মাতে অব্যক্তভাবে থাকে, আর সমুদয় জীবনের কা কেবল উহার ঐ অব্যক্ত শক্তিসমূহের বিকাশ। তাহারা পুনর্জন্মবাদও মানিয়া থাকেন—এই দেহের ধ্বং হইলে জীব আর এক দেহ লাভ করিবেন আবার সেই দেহনাদের 8Հե