পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ । সে ব্যক্তি বাতুল। তাহ হইলে, সে পিতামাতাকে অস্বীকার করিয়া সন্তানের অস্তিত্বও স্বীকার করিতে পারে । উহাও তাহা হইলে যুক্তিসঙ্গত হইয় পড়ে। ভূত ভবিষ্যৎ অস্বীকার কৱিলে, বর্তমানও অস্বীকার করিতে হইবে। এই এক ভাব-ইহা শূন্তবাদীদের মত। কিন্তু আমি এমন লোক দেখিলাম না, ধে এক মুহূৰ্ত্তও শূন্তবাদী হইতে পারে ;–মুখে বলা অবশু খুব সহজ। । দ্বিতীয় উত্তর এই,–এই প্রশ্নের প্রকৃত উত্তরের অন্বেষণ কর— সত্যের অন্বেষণ কর-এই নিত্য পরিণামশীল নম্বর জগতের মধ্যে কি সত্য আছে, অন্বেষণ কর। এই দেহ, যাহা কতকগুলি ভৌতিক অণুর সমষ্টিমাত্র, ইহার মধ্যে কি কিছু সত্য আছে ? মানবজীবনের ইতিহাসে সৰ্ব্বদাই এই তত্ত্ব অন্বেষিত হইয়াছে, দেখা রায়। আমরা দেখিতে পাই, অতি প্রাচীন কালেই মানবের মনে এই তত্ত্বের অস্ফুট আলোক প্রতিভাত হইতে আরম্ভ হইয়াছে। আমরা দেখিতে পাই, তখন হইতেই মানুষ স্থূলদেহের অতীত আর একটা দেহের জ্ঞানলাভ করিয়াছে—উহা অনেকাংশে ঐ দেহেরই তে বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ নহে ; উহা স্থল দেহ হইতে শ্রেষ্ঠ —শরীর ধ্বংস হইয়া গেলেও উহার ধ্বংস হইবে না। আমরা ঋগ্বেদের হুক্তে মৃতশরীরবিশেষ দাহনকারী অগ্নিদেবের উদ্দেশে নিম্নলিখিত pব দেখিতে পাই,—“হে অগ্নি, তুমি ইহাকে তোমার হন্তে_করিয়া যুদ্ধভাবে লইয়া বাও-ইহাকে সৰ্ব্বাঙ্গমুন্ধর জ্যোতিৰ্ম্ময় দেহসম্পন্ন র=ইহাকে সেই স্থানে লই যাও, যেখানে পিতৃগণ বাস করেন, যেখানে দুঃখ নাই, যেখানে মৃত্যু নাই।” তুমি দেখিবে, সকল শ্বেই এই একরূপ ভাব বিদ্যমান, আর তাছার সহিত আমরা আর 8> , ;"