পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । অধিকাংশ বিষয় ব্যাখ্যা করিতে পারে, তাহাই গ্রহণীয়। সুতরাং ইহাই বেশী যুক্তিসঙ্গত যে, যে শক্তি জড়রাশি গ্রহণ করিয়া তাহ হইতে শরীর গঠন করে, আর ষে শক্তি শরীরের ভিতরে প্রকাশিত রহিয়াছে, ইহারা উভয়ে অভেদ। অতএব, যে চিন্তাশক্তি আমাদের দেহে প্রকাশিত হইতেছে, উহা কেবল জড়াণুর সংযোগোৎপন্ন, সুতরাং তাহার দেহনিরপেক্ষ অস্তিত্ব নাই, এই কথার কোন অর্থ নাই। আর শক্তি কখন জড় হইতে উৎপন্ন হইতে পারে না। বরং ইহা প্রমাণ করা অধিক সম্ভব যে, যাহাকে আমরা জড় বলি, তাহার অস্তিত্বই নাই। উহা কেবল শক্তির এক বিশেষ অবস্থামাত্র। কাঠিন্ত প্রভৃতি জড়ের গুণসকল বিভিন্নরূপ স্পন্দনের ফল, প্রমাণ করা যাইতে পারে। জড়পরমাণুর ভিতর প্রবল কম্পন উৎপাদন করিলে, উহা কঠিন হইয়া যাইবে । খানিকট বায়ু রাশিতে যদি অতিশয় প্রবল গতি উৎপাদন করা যায়, তবে উহাকে টেবিল অপেক্ষাও কঠিন বোধ হইবে। অদৃশু বায়ুরাশি যদি প্রবল ঝটিকার বেগে গতিশীল হয়, তবে উহাতে ইস্পাতের ভাণ্ডাকে বাকাইয়া দিবে ও ভাঙ্গিয়া ফেলিবে—কেবল গতিশীলতা দ্বারা উহাতে এমন কাঠিন্তের স্তায় ধৰ্ম্ম জন্মাইবে। এই দৃষ্টান্ত হইতে ইহা কল্পনা করা যাইতে পারে যে, অনমুভাব্য ও অজড় ইথারকে যদি প্রবল চক্রগতিবিশিষ্ট করা যায়, তবে উহাতে জড় পদার্থের গুণসমূহের সম্পূর্ণ সাদৃপ্ত দেখা যাইবে। এইরূপ ভাবে বিচার করিলে ইহা বরং প্রমাণ করা সহজ হইবে যে, জার যাহাকে ভূত বলি, তাহার কোন অস্তিত্ব নাই; কিন্তু অপর মতটা প্রমাণ করা যায় না। ’ . . . 8b.