পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । পরিবর্তন ঘটতেছে, অসাধু সাধু হইতেছে, পশু মানুষ হইতেছে, এ সকল কখন আত্মাতে হয় না। মনে কর, যেন একটী যবনিকা রহিয়াছে ; আর উহার মধ্যে একটা ক্ষুদ্র ছিদ্র রহিয়াছে, উহার ভিতর দিয়া আমার সন্মুখস্থ কতকগুলি—কেবল কতকগুলি মুখমাত্র দেখিতে পাইতেছি। এই ছিদ্র যতই বড় হইতে থাকে, ততই সম্মুখের দৃপ্ত আমার নিকট অধিকতর প্রকাশিত হইতে থাকে, আর যখন ঐ ছিদ্রট সমুদয় যবনিক ব্যাপিয়া যায়, তখন আমি তোমাদিগকে স্পষ্ট দেখিতে পাইয়া থাকি। এস্থলে তোমার কোন পরিবর্তন হয় নাই ; তুমি যাহা, তাহাই ছিলে। ছিদ্রেরই ক্রমবিকাশ হইতেছিল, আর তৎসঙ্গেসঙ্গে তোমার প্রকাশ হইতেছিল। আত্ম-সম্বন্ধেও এইরূপ। তুমি মুক্তস্বভাব ও পূর্ণই আছ। উহ! চেষ্টা করিয়া পাইতে হয় না। ধৰ্ম্ম, ঈশ্বর বা পরকালের এই সকল ধারণা কোথা হইতে আসিল ? মানুষ ঈশ্বর ঈশ্বর করিয়া বেড়ায় কেন ? কেন সকল জাতির ভিতরে, সকল সমাজেই মানুষ পূর্ণ আদর্শের অন্বেষণ করে—তাহ মন্থম্ভে, ঈশ্বরে বা অন্ত কিছুতেই হউক ? তাহার কারণ—উহা তোমার মধ্যেই বর্তমান আছে। (তোমার নিজের ফাইন ধকূ করিতেছে, তুমি মনে করিতেছ, বাহিরের কোন বস্তু এইরূপ শব্দ করিতেছে। তোমার আত্মার অভ্যন্তরস্থ ঈশ্বরই তোমাকে তাহার অনুসন্ধান করিতে তাহার উপলব্ধি করিতে, প্রেরণ করিতেছেন। এখানে সেখানে, মন্দিরে গির্জায়, স্বর্গে মৰ্বে, নানা স্থানে এবং নানা উপায়ে অন্বেষণ করিবার পর অবশেষে আমরা যেখান হইতে আরম্ভ ૯૭ 絮