পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ। ইষ্টবে ?’ ইহার অর্থ কি ? ছোট ছেলে মিষ্ট দ্রব্য ভালবাসে ; মনে কর, তুমি তাড়িতের বিষয়ে কিছু গবেষণা করিতেছ। শিশু তোমাকে জিজ্ঞাসিতেছে---ইহাতে কি মিষ্টি কেনা যায় ? তুমি বলিলে,-“না’। তবে ইহাতে কি উপকার হইবে ?” তত্ত্বজ্ঞানের আলোচনায় ব্যাপৃত দেখিলেও, লোকে এইরূপে জিজ্ঞাসা করিয়া বসে,—‘ইহাতে জগতের কি উপকার হইবে ? ইহাতে কি আমাদের টাকা হইবে ?’ ‘না’। তবে ইহাতে আর উপকার কি ?’ মানুষ জগতের হিত করা অর্থে এইরূপই বুঝিয়া থাকে। তথাপি ধৰ্ম্মের এই প্রত্যক্ষানুভূতিই জগতের সম্পূর্ণ উপকার করিয়া থাকে। লোকের ভয় হয়,—যখন সে এই অবস্থা লাভ করিবে, যখন সে উপলব্ধি করিবে যে, সবই এক, তখন তাহার প্রেমের প্রস্রবণ শুকাইয়া যাইবে ; জীবনের মূলাবান যাহা কিছু, সব চলিয়া যাইবে ; এই জীবনে ও পরজীবনে তাহারা যাহা কিছু ভালবাসিত, তাহাদের পক্ষে তাহার কিছুই থাকিবে না। কিন্তু লোকে এ বিষয় একবার ভাবিয়া দেখে না যে, ধৈ সকল ব্যক্তি নিজ মুখচিন্তায় একরূপ উদাসীন, তাহারাই জগতে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ কৰ্ম্মী হইয়া গিয়াছেন। তখনই মানুষ যথার্থ ভালবাসে, যখন মানুষ দেখিতে পায়, তাহার ভালবাসার জিনিষ কোন ক্ষুদ্র মর্ত্য জীব নহে । তখনই মানুষ । যথার্থ ভাল বাসিতে পারে, যখন সে দেখিতে পায়, তাহার ভালবাসার পাত্র-থানিকটা মৃত্তিকাখও নহে, স্বয়ং ভগবান। স্ত্রী স্বামীকে আরও অধিক ভালবাসিবেন, যদি তিনি ভাবেন-স্বামী সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ। স্বামীও স্ত্রীকে অধিক ভালবাসিবেন, যদি তিনি জানিতে পারেন,—স্ত্রী স্বয়ং ব্রহ্মস্বরূপ। সেই মাতাও সন্তান సిన