পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । গণকে বেশী ভালবাসিবেন, যিনি সস্তানগণকে ব্রহ্মস্বরূপ দেখেন । সেই ব্যক্তি র্তাহার মহা শক্রকেও প্রতি করিবেন, যিনি জানেন,— ঐ শত্রু সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ। সেই ব্যক্তিই সাধু ব্যক্তিকে ভালবাসিবেন, যিনি জানেন,-সেই সাধু ব্যক্তি সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ। সেই লোকেই আবার অতিশয় অসাধু ব্যক্তিকেও ভালবাসিবেন, যিনি জানেন,—সেই অসাধুতম পুরুষেরও পশ্চাতে সেই প্রভু রহিয়াছেন। যাহার পক্ষে এই ক্ষুদ্র অহং একেবারে মৃত হইয়া গিয়াছে, এবং তৎস্থল ঈশ্বর অধিকার করিয়া বসিয়াছেন, সেই ব্যক্তি জগৎকে ইঙ্গিতে পরিচালন করিতে পারেন। র্তাহার পক্ষে সমুদয় জগৎ সম্পূর্ণরূপে অন্ত আকার ধারণ করে। দুঃখকর ক্লেশকর যাহ। কিছু, সবই তাহার পক্ষে চলিয়া যায় ; সকল প্রকার গোলমাল— দ্বন্দ্ব মিটিয়া যায়। জগৎ তখন তাহার পক্ষে কারাগারস্বরূপ না হইয়া ( যেখানে আমরা প্রতিদিন এক টুক্র কুটির জন্য ঝগড়া— মারামারি করি ) আমাদের ক্রীড়াক্ষেত্ররূপে পরিণত হইবে। তখন জগৎ অতি সুন্দরভাবে পরিণত হইবে। এইরূপ ব্যক্তিরই কেবল বলিবার অধিকার আছে যে,—‘এই জগৎ কি মুন্দর ? র্তাহারই কেবল বলিবার অধিকার আছে যে, সবই মঙ্গলস্বরূপ। এইরূপ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হইতে জগতের এই মহান হিত হইবে যে, জগতের এই সকল বিবাদ-গণ্ডগোল সব দূর হইয়া জগতে শাস্তির রাজ্য হইবে। যদি জগতের সকল মানুষ আজ এই মহান সত্যের এক বিলুও উপলব্ধি করিতে পারে, তাহা হইলে তাহার পক্ষে এই সমুদয় জগৎই আর একরূপ ধারণ করিবে, আর এই সব গণ্ডগোলের পরিবর্তে শাস্তির রাজত্ব আসিবে। অসভ্যভাবে У o e