পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స8 বাসনা সফল হইবে না। এ সংসার কাননে আমরা প্রজাপতি যুগল হইয় পড়িতে পাইব না, এখানে আমরা কপোত কপেণতিনী হইয়া থাকিতে পাইব না । এ মধুমক্ষিকাদ্বয় মিলিয়া এখানে স্বতন্ত্ৰ মধুচক্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতে পাইবে না । এ শুক শারীর কথ। এ জগৎ শুনিবে না। এ বৃথা আশা ত্যাগ কর যোগেশ । এ জগতে আগমণদের সম্মিলন বিধাতার ইচ্ছ। নয় তুমি আমার জন্য ভাবিও না, তুমি সুখী হইলেই আমার পরম সুখ । তুমি আমার অনুরোধ শুন, চিত্ত সুস্থির কর । তাছা হইলে আমার আনন্দের সীমা থাকিবে না। আমার জন্য তুমি এক বিন্দুও উদ্বিগ্ন হইও না। আমি জানি এ জগতে আমাদের সম্মিলন না হইলে তোমার অনেক মঙ্গল হুইবে । তোমার মঙ্গল অপেক্ষ আমার আর কি প্রার্থনীয় হইতে পারে ? তোমার মঙ্গল,তোমার কল্যাণ,তোমার ছিত, এ জগতে আমার প্রধান চেষ্টা । সেই জন্য অদ্য আমি হৃদয়কে লৌহবৎ কঠিন করিয়া,পাষাণবৎ দুর্ভেদ্য করিয়া, বজ্রাধিক ভয়ঙ্কর করিয়া এই কঠোর পরামর্শ লিপিবদ্ধ করিতেছি । যাহা লিখিতেছি জানিও ভগছা আমার অন্তরের কথা । আমি ইচ্ছাপূর্বক সন্তোষ সহকারে এই মত স্থির করিয়াছি অতএব তুমি আমার জন্য ভাবিও না। বিমল | (জ্ঞানাঙ্কুর পেীঃ, ১২৮২ আমার জন্য তুমি কোন রূপে অমুখী হইও না। আমি বেশ থাকিব, মনকে প্রবোধ দিব এ জগত আমাদের স্থান নয়। তাই ভাবিয়া অামি স্বচ্ছন্দে থাকিব । কিন্তু তুমি, তুমি যদি অসুখী । হও, তুমি যদি দুঃখিত ও ব্যথিত হও তাহা হইলে আর আমার সুখ কোথায় ? তাহা হইলে আমার অসুখের সীমা থাকিবে না । তোমার চরণে আমার সানুনয় অনুরোধ তুমি কদাচ চিত্তকে অস্থির হইতে দিও না । যোগেশ ! তোমার জনক আছেন, জননী আছেন, ভ্রাতা ও ভগ্নী আছে, তুমি অতগুলি লোকের লক্ষ্যস্থল—অতগুলি লোকের আনন্দ ধাম । তোমার চিত্ত প্রশাত্ত না থাকিলে, কেবল তুমি অামি নই, সকলেই কষ্ট পাইবে । যোগেশ তুমি চিত্তকে স্থির করিও । অীর এক কথা যোগেশ ! আর একটা কথা বলিয়া আমার এই কঠোর শোকাবহ লিপির শেষ করিব। তোমার একটা বিবাছ করিতে হইবে। একটা সুশীলাসুন্দরী বালিকাকে তোমারপত্নী 'রূপে গ্রহণ করিতে হইবে। কেন তুমি তাহা করিবে না? এককারণে দুই জনের যাতনার আবশ্যক কি ? ষোগেশ ! তুমি বিবাহু করিও। সেই রমণী তোমাকে ভাল বাসিবে । তোমাকে স্বেছ করিবে । আমি, যখন দেখিব তুমি একটা সুন্দরী সুশীলা রমণীকে পত্নী