পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০২

জ্ঞানাঙ্কর পৌঃ, ১২৮২) রূপে গ্রহণ করিয়াছ, আর যখন দেখিব সেই রমণী তোমাকে অন্তরের সহিত ভাল বালিতেছে, তখন আমার আন নের সীমা থাকিবে না। কালক্রমে যোগেশ ! তোমার প্রফুল্ল কুসুমবৎ আনন্দময় সন্তান হুইবে । তাছার হাসিতে ছাসিতে নাচিয়া বেড়াইবে । আমি ভগছাদের ক্রেগড়ে লইব, অন্তরের সহিত ভাল বাসিব, মাতৃবাৎসল্যে লালন পালন করিব । যোগেশ ! তুমি তাছাদের বলিয়া দিও তাহারা যেন আমাকে 'মা' বলিয়া ডাকে । যোগেশ ! এ সকল আনন্দে তুমি বঞ্চিত হইও না । তুমি বিবাহ করিও, তোমাকে বিবাহ করিতেই হইবে । ভাবিও না যোগেশ যে আমার হৃদয় তোমার প্রতি স্নেহশূন্য হইয়াছে বা ভবিষ্যতে হুইবে । না তাহ নয় । এ হৃদয়ে যাহা অাছে তাছার কথা কি বলিব ? তাছা আমি জগতকে দেখা মার স্নেহের বিমলা তোম; ভিন্ন আর ইতে চাছি না । লোককে শুনাইতে চাছি না । সে অন্তরের ভাব আমি অন্তরে বহন করিয়া স্থলু হইব। নি, জানিবার তিনি তাহা জানেন । যোগেশ তুমি কি তাছা জান না ? * এ জীবনে তোমার সহিত আমার সদা সৰ্ব্বদা দেখা হুইবে । দেখা হওয়াই প্রার্থণীয়। দেখা হইবে কিন্তু পূর্বের ভাব আর কিছু মনে না থাকে, এসকল কথা স্মৃতি হইতে কিলুপ্ত হউক। তো বিমল । ఫ్రీ মার সহিত আমার বিবাহ হইবে স্থির হইয়াছিল, তাহ যেন তোমার আমার অণর মনে না থাকে। কিন্তু যোগেশ ! এ অতুলনীয় প্রণয়, অসীম স্নেহ, অবিচ্ছেদ্য ঐক্য ইহা কি ভাসিয়া যাইবে ? না তাহ"অসম্ভব ; জীবন যাইবে তথাপি এ স্বগীয় প্রবৃত্তি সমস্ত লোপ পাইবে না। ঈশ্বর কৰুণ যেন তাহা চিরদিন সমান থাকে । তোমার সহিত আমার সতত সাক্ষাৎ হুইবে যোগেশ । কিন্তু তুমি আমাকে স্নেহময়ী ভগ্নী বলিয়া ভাবিও । আমিও তোমাকে ভ্রাত বলিয়া ভাবিব । তাছাতেই আমার আনন্দ হইবে । তাহতেই আমি সুখী থাকিব । এ কথা যোগেশ কখন ভুলিও না। এ জগতে তুমি ভিন্ন আর কেছ আমার পূর্ণ হৃদয়ের, পূর্ণপ্রেমের অধিকারী হইতে পারে না । সুতরাং জtনিও যোগেশ তোমার আদরের, তো কাহারও নহে, আর কাছারও হইবে না। সংসার আমাদের বিরোধী হউক, সমাজ আমাদের পবিত্র আশালতাকে বিদলিত কৰুক, এ পাপ পৃথিবী জামাদের স্বগীয় সুখের যথাসাধ্য প্রতিবন্ধকতা কৰুক,— আমাদের অস্তরের ভাব কেছ মুছিয়া দিতে পারিবে না। তাছার ধ্বংস হুইবে না। এখন না হউক যে কোন কালে তাহা জয় লাত