পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खांनाक्रूझ गाँ** s२४२) ললিত-সৌদামিনী | নবম পরিচ্ছেদ । স্বৰ্য অস্তমিত হইল। পৃথিবী গাঢতিমিরণবৃত হইল । তদপেক্ষণ গাঢ়তর তিমির কেশবের হৃদয়কে আচ্ছন্ন করিव्न् । পৃথিবীর সহিত মানব হৃদয়ের এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একতা আছে। অৰুণোদয়ে কেবল পৃথিবী হাসেন এরূপ নহে । জীবলোক সমুদায় স্থৰ্য্যালোকে প্রফুল্প হয় । হাজার ভাবনা চিন্তা থাকিলেও রজনী অপেক্ষণ দিবণভাগে মন নিৰুদ্বেগ থাকে । যামিনী নিজে মলিন, সুতরাং সকলকেই মলিন করিতে পারিলেই যেন ভাল থাকে । রজনী আগমনে কেশবের হৃদয় যার পর নাই সন্তাপিত হইতে লাগিল । গিরিবালা রন্ধনাদি করিয়া কেশবকে আহার করিতে ডাকিলেন । কেশব ক্ষুধা নাই বলিয়া আহার করিলেন না। অন্যান্থ্য সকলে আহারাদি করিল। চাকর গিয়া নিজস্থানে শয়ন করিল। গিরিবালা স্বামীর শুষ্যাপাশে বসিয়া র্তাহার গায়ে তালবৃন্ত ব্যজন করিতে লাগিলেন । কেশব মনে করিলেন গিরিবালা র্তাহাকে নিদ্ৰিত করিবার চেষ্টা করিতেছে । এজন্য তিনি কছিলেন “ আজ আর বাতাস করিতে হুইবে না। আমার জ্বরভাব হইয়াছে। গ৷ শীতং করিতেছে তুমি শোও।” গিরিবালা স্বামীর কপাল স্পর্শ \కి ললিত-সৌদামিনী । ፭)ዓ করিলেন । হাত কেশবের কপালে জলন্তবং বোধ হুইল অনন্তর গিরিবালা শয়ন করিয়া নিদ্রিত হইলেন । কেশব ক্ষণকাল শয়ন করিরা শষ্যণীয় উঠিয়া বসিলেন । এরূপ স্ত্রীর সহিত কিরূপে সহবাস করিবেন ? গিরিবালাকে তিনি বিষধর সর্প জ্ঞান করিতে লাগিলেন । অনেকক্ষণ নানাপ্রকার চিন্তা করিয়া প্রকাশে বলিতে লাগিলেন “ গিরিবণল ! এই কি তোমর উচিত ? তুমি এমন হইবে তাছা আমি স্বপ্নেও জনিতাম না । আমি এক্ষণে অন্ধ হইয়াছি, কোথায় তুমি আমাকে অধিকতর যত্ন করিবে তাহা না করিয়া তুমি আমাকে ত্যাগ করিলে ?” এত দূর বলিয়া আর কেশব ক্ৰন্দন সস্বরণ করিতে পারিলেন না । তাহার উচ্ছাসে গিরিবলার নিদ্ৰাভঙ্গ হইল, কিন্তু তিনি তাহার কোন চিহ্ন না দেখাইয়। চুপ করিয়া শুনিতে লাগিলেন। কেশব কহিতে লাগিলেন “ গিরিবগল ক্ষমা কর, তোমার বৃথা দোষ দিয়াছি । এদেশষ তোমার নহে, এ আমার অদৃষ্টলিপি ৷ তুমিতে আমাকে সে দিবস পড়িতে নিযেৰ্থ করিয়াছিলে, আমি তোমার কথা না শুনিয়া পড়িলাম। পড়িয়া চক্ষুরত্ব ছারাইলাম। আমার অদৃষ্ট যদি ভাল হইত তাছা হইলে চিরকাল তোমার কথা শুনিয়া আসিয়া সে দিবস