পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১

অন্ধদিগের শিক্ষণ ও জীবনোপায় । উদ্ধৃত করিয়াদিলাম — ‘আমি এসেছি ষারো অশে, যাব কোথা তার উদ্দেশে । নিজ ক্ষে হুগুণে বন্ধি জীবগণে কে পালে যতনে, অাছে জগত মোহিত, কার, প্রেমভাবে ". সম্বাদ পত্রপাঠে অবগত হওয়া গিয়াছে নদীয়া জেলার অন্য একটী অন্ধ অধ্যাপক অসাধারণ মেধা ও মনঃ সংযম বলে সংস্কতে পারদর্শিতা লাভ পূর্বক স্মৃতিশাস্ত্রের ব্যবসায় করিয়া অন্তেবাসীবগকে নিয়মিতরূপে শিক্ষা প্রদান করিতেছেন । উল্লিখিত উদেহরণ পরম্পরা দ্বারা অন্ধদিগের ক্ষমতা অনেকাংশে উপলব্ধ হইবে, এবং তা হারা মনোযোগ করিলেই ষে স্বাধীন ভাবে জীবিকা নির্বাহোপযোগী সংস্থান করিতে পারে, তাহাও অনুমিত হইবে । কিন্তু পূৰ্ব্বে যে কতিপয় মহামনশ্বীর নাম উল্লিখিত হইয়াছে, তৎসদৃশ ব্যক্তি হইয়া জীবিকা নির্বাহ করা বহুকাল সক্ষেপ । বিশেষতঃ অন্ধগণ দেশকালানুসারে কেবল মসীবৃত্তি অবলম্বন করিয়াই যে জীবনযাত্র নির্বাহ করিবে এরূপ আশা করাও নিতাপ্ত অসাময়িক ও অসঙ্গত । অতএব অন্ধদিগের জীবিক নিৰ্ব্বtহাৰ্থ নিম্নলিখিত কতিপয় উপায় অবলম্বন করা সৰ্ব্বথা কর্তব্য । ● জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২৮২) ১ম। অন্ধনিবাস স্থাপন । ২য়। উক্ত নিবাসে অন্ধদিগের শিক্ষানুকূল নিয়ম সংস্থাপন ও তাহাদিগকে যথারীতি শিক্ষা প্রদান । ৩য় । নিবাসবাসী অন্ধদিগের শিল্পোৎপন্ন দ্রব্যসমূহ বিক্রয় করিয়া তদুৎপন্ন অর্থদ্বারা নিবাস রক্ষার মূলধন বৃদ্ধি করণ । ৪ৰ্থ । শিক্ষার পরিচয় গ্রহণ ও পুরস্কার স্বরূপ উপযুক্ত অন্ধদিগের সংসার প্রবেশেপযোগী উপায় সংস্থাপন । ৫ম । সুশিক্ষিত অন্ধদিগের স্বাধীনভাবে জীবিক রক্ষার নিমিত্ত নিবাস শিক্ষিত বিষয়ানুসারে যথারীতি ব্যবসায় অবলম্বন । অন্ধনিবাস স্থাপন ও ভথায় যথারীতি শিক্ষা প্রদান প্রভূতি কতিপয় বিষয়ের সহিত অন্ধদিগের জীবন যাত্রার সংস্থান অনুলিপ্ত আছে । অতএব আদৌ অন্ধুনিবাসের বিষয় বিবৃত করিয়া পশ্চাৎ অন্ধ দিগের জীবিকা নিৰ্ব্বগছের বিষয় বিবৃত করা ইতেছে । ১ম । অন্ধনিবাস স্থাপন । " জীবিক সংস্থানানুরূপ শিক্ষা লাভ করা নিজায়াত্ব নছে। এতদ্বিষয়ে অপরের হস্তাবলম্বন গ্রহণ করিতে হয়। র্যাহার স্বশক্তি সমুথিত বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন, তাহাদিগের ও কোন না কোন বিষয়ে অপরের সাহায্য গ্রহণ করিতে হইয়াছে। অতএব যখন চক্ষু