পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ3 & পূর্বক কেশবের নিকট গমন করিলেন। কেশব নিজের শয্যায় শয়ন করিয়াছিলেন । গিরিবালা কহিলেন, “ তোমাকে যদি একটা মুসমাচার দিতে পারি, তবে আমাকে কি দাও ?” কেশব কহিলেন “কেও গিরিবালা ! কি সুসমাচার ?” গিরিবালা “কহিলেন, আগে আমণকে কি দেবে বল ?”

  • এ অন্ধের আর অদেয় কি আছে ?” “ আমি তা শুন্তে চাইনে । তুমি একটু হাসবে কি না ? আর আমার সমস্ত দোষ মার্জন করবে কি না ?”

কেশব গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন “ অন্ধের রাগে তোমার কি হবে ?” “ তবে তুমি কিছু দেবে না,— আমি অমনিই বলি। সৌদামিনীর সহিত ললিতের বিবাহ হইয়াছে।”

  • সে কি ? রাম কানাইয়ের কি হলো ?”

“তার শিশুপালের বিবাহ হয়েছে।” কেশব চমৎকৃত হইয়া জিজ্ঞাসিলেন “বিষয়টা কি ভেঙ্গেই বল না।” গিরিবণলা কহিলেন, “রামকানা ইকে দেখে অবধি সুদামের মা প্রতিজ্ঞ করলেন,তার সঙ্গে মেয়ের বিবাহ দেবেন না । তাই শুনে বামনদাস আর নায়ও না, খায়ও না, বললে অনাহারে প্রাণত্যাগ করবে। সৌদামিনীর মা কি করেন? তাহাকে বল্লেন রামকানাইকে ললিত-সৌদামিনী । (জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ কস্তা দিবেন। এদিকে গোপনে ললিতকে এখানে আসতে পত্র লিখলেন। ললিত পত্র পেয়ে এল, এসে আমাকে মাথার দিব্য দিয়ে বারণ কর ক্ষে, যেন তুমি এ কথা শুন্তে না পাও । আমি কত বলিলাম, তোমাকে বলায় কোন ক্ষতি নাই, তবু সে শুনৃলো না। এমনি দুই এক দিন আসতে দাসী তাকে দেখতে পেলে, কিন্তু সন্ধ্যার পর বলে চিন্তে পার লে না । সে মনে করলে চাকরই বুঝি গোপনে বাহির হয়ে যাচ্যে । এই মনে করে তার মনে সন্দেহ হলো । আমাকে মন্দ কথা বল্যে । সেই জন্ত তাকে বিদায় করে দিলাম । যাবার সময় বুঝি তোমাকে কিছু বলে গিয়া থাকবে, তাই তোমার মনে সন্দেহ হয়েছে। সে দিম রাত্রে তোমার কথা শুনে আমি জানতে পারিলাম। আমি তখনই তোমাকে সব কথা কহিতাম, কিন্তু ললিত দিব্য দিয়াছিল বলিয়াই বলি নাই । আমি কি তোমাকে ত্যাগ করতে পারি ? তোমার মতন—” কেশব এত দূর শুনিয়া গিরিবালার হাত ধরিয়া কছিলেন, “ আর কাজ নাই, আমি সব বুঝেছি। গিরিবাল। আমার অপরাধ হয়েছে, ক্ষমা কর।” গিরিবালা কহিলেন, “আমি তোমাকে ক্ষমা করিব ? তুমি আমাকে এই ক্ষমা কর যে ললিতের কথা শুনে,আমি এত দিন তোমার নিকট এ বিষয় গো