পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর মাঃ, ১২৮২) পন করে রেখেছি। আমার বড় কঠিন প্রাণ যে তোমার এই কয়েক দিনকার কষ্ট দেখেও আমি গুপ্ত কথা প্রকাশ করি নাই। তোমার স্ত্রী হওয়া দূরে থাকুক, আমি তোমার দাসী হওয়ার ও যোগ্য নই ৷” পূৰ্ব্ববৎ গিরিবালার হস্তাকর্ষণ করিয়া কেশব কছিলেন, “ তোমার দোষ কি ? তোমাকে দিব্য দিয়া বলিয়াছিল, তাই রসসাগর । ovని তুমি এ কথা বল নাই। দোষ দুজনেরই। আমি যে দাসীর কথা শুনে তোমাকে কলঙ্কিনী মনে করেছি, এই আমার ঘোরতর অপরাধ, তুমি আমাকে ক্ষম। এই বলিয়া কেশব কাদিতে লাগিলেন । গিরিবালা ও তদর্শনে কাদিতে লাগিলেন । সম্পর্ণ। 4. কর । ” রসসাগর । শ্ৰীহরিমোহন মুখোপাধ্যায় প্রণীত । এতদ্দেশে কোন কালেই জীবন চরিত লেখার পদ্ধতি ছিল না, সেই জন্যই আমরা ভূতপূৰ্ব্ব মহোদয়বর্গের জীবনী সম্বন্ধে নিতান্তু অন্ধ হইয়া রহিয়াছি। অধিক পূর্বের কথা দূরে থাকুক শতবৎসরের মধ্যবৰ্ত্তী ঘটনাবলীও ঘোর তমসাচ্ছন্ন । ৪০৫ বর্ষ পূর্বে যে সকল মহাত্মা জন্ম পরিগ্রহ করিয়া মাতৃভূমির মুখোজুল করিয়া গিয়াছেন, র্তাহাদের জীবনী সম্বন্ধেও নানাবিধ মত ভেদ হইয়া থাকে। শৌর্য্যে, বীৰ্য্যে, বিদ্যায়, এবং কবিত্বে ভারতবর্ষ কোন দেশ অপেক্ষাই নূ্যন ছিল না। রামায়ণ ও মহাভারত বর্ণিত বিষয় সমুহের মধ্য হইতে যদি কেহ কখন অলীক ঘটনা,পরম্পরার দুরকরণে সমর্থ ছন, তবে তিনি দেখিতে পাইবেন, ভারত বর্ষ পৃথিবীর শিরোভূষণ ছিল। আমাদিগের প্রাচীন ইতিবৃত্ত নানাবিধ অলীক আড়ম্বরেই পরিপূর্ণ ; তন্মধ্য হইতে সারভাগ সঙ্কলন করা অতীব দুঃসাধ্য, তাহার সন্দেহ নাই । যে সকল বিষয় কালের কুটিল ক্রেগড়ে বিলয় প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহার কথঞ্চিৎ সমাহার করা বিদ্যোৎসাহী স্বদেশানুরাগী ব্যক্তিগণের সৰ্ব্বতোভাবে কর্তব্য । আমরা অদ্য যে ব্যক্তির পরিচয় দিতে অগ্রসর হইয়াছি, তিনি অধিক দিনের প্রাচীন লোক নছেন, তথাপি তাহার পরিচয় সংগ্রহ করা যার পর নাই কঠিন হইয়া রহিয়াছে । জেলা নদীয়ার অন্তঃপাতী বাগোয়ানের সন্নিহিত বাড়ে বাকা গ্রামে বাঙ্গালা ১১৯৮ সালে কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী জন্ম পরিগ্রহ করেন।