পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 تا نخ: ইহঁর বাল্যকাল কি রূপে অতিবাহিত হয়, তাহ আমরা বিবিধ অনুসন্ধানেও জ্ঞাত হইতে পারি নাই । তখন পল্লীগ্রামে বিদ্যাশিক্ষার সম্যক সদুপায় ছিল না, কিন্তু কৃষ্ণকান্ত বাল্যকালে সংস্থত, পারসী, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় সুশিক্ষিত হইয়াছিলেন। ইহাতে বোধ হয়, র্তাহার পিতা নিতান্ত দীন হীন ছিলেন না, সন্তানের সুশিক্ষার জন্য র্তাহার যত্নের ক্রট হয় নাই। ভাদুড়ি মহাশয় কৃষ্ণনগমে দার পরিগ্রহ করেন, এবং সেই স্থত্রেই তাহার উক্ত রাজধানীতে বাস। তঁহার জীবনের অতি উৎকৃষ্ট ভাগ কৃষ্ণনগরে অতিবাহিত হইয়াছিল, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় । এই স্থলেই তাহার কবিত্ব বিকসিত কুসুমের দ্যায় সকলের মনোহরণ করিয়া ছিল । ক্লষ্ণনগরের রাজসংসার বিদ্যোৎসাহিতার জন্ত চিরদিন প্রসিদ্ধ । মহারাজ গিরীশ চন্দ্র রায় অতিশয় গুণগ্রাহী ছিলেন ; তিনি কৃষ্ণকান্ত ভাদু ড়ির কবিত্বের পরিচয় পাইয়া আপন সভাসদ পদে নিযুক্ত করিলেন, এবং ক্রমে ক্রমে তাহার কবিত্বরসের আস্বাদনে পরম পুলকিত হইয় তাহাকে ‘রসসাগর' উপাধি প্রদান করিলেন। তিনি এই রাজদত্ত উপাধি দ্বারা কৃষ্ণনগর অঞ্চলে এতদূর প্রসিদ্ধ হন, যে র্তাছার প্রকৃত নাম অনেকেই অবগত রসসাগর } (জ্ঞানীকুর মঃি, ১২৮২ ছিলেন না। রসসাগরই তাহার প্রকৃত নামের স্যায় হইয়া গিয়াছিল। তিনি যে এই উপাধির যথার্থ উপযুক্ত পাত্র ছিলেন, তদ্বিষয়ে কোন সংশয় নাই । আমরা ‘করিচরিত' গ্রন্থের উপক্রমণিকায় রসসাগরের প্রথম পরিচয় দেই, কিন্তু তাহা এত সংক্ষিপ্ত যে তৎপাঠে পাঠকের তৃপ্তিসাধন হয় না । তৎপরে এডুকেশন গেজেটে যৎকিঞ্চিৎ প্রকাশিত হয়, তাহাতে আমরা সমধিক পরিচয় পাই নাই। ক্রযুক্ত শ্যামাধব রায় বাঙ্গালী ১২৭৮ সালে “ কবি রসসাগরের জীবন চরিত এবং তাছার কতকগুলি উপস্থিত পাদপূরণ” ইত্যভিধেয় এক খানি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রকাশ করেন, তাছাতে ৯৬টা পাদপূরণ আছে, কিন্তু জীবনী সম্বন্ধে অধিক কথা নাই । ংগ্রহকার সে বিষয়ে সম্যক দোষী মহেন, তদপেক্ষা অধিক সংগৃহীত হওয়া নিতান্ত সুকঠিন । “ ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত” গ্রন্থে রসসাগরের বিবরণ যাহা লিখিত হইয়াছে তাহাতেও নুতন কথা নাই । গ্রন্থকার কৃষ্ণনগর রাজসংসারে অনেক দিন কৰ্ম্ম করিতেছেন, এবং রসসাগরের জীবিত কালে তাহার সহিত পরিচিত ছিলেন, তথাপি তিনি যখন কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই, তখন অন্তের পক্ষে ইহা নিতান্ত দুঃসাধ্য তাহাতে সন্দেহ নাই । দ্রুত রচনা বিষয়ে রসসাগরের অতি