পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'o 3 আমরা এস্থলে রসসাগরের রসিকতার কতিপয় উদাহরণ প্রদান করি তেছি । 尊 একদা তিনি মহাবিষুব সংক্রান্তির পূর্বদিবস রাজ সংসারের কৰ্ম্মাধ্যক্ষ রামমোহন মজুমদারের নিকট, কিঞ্চিৎ বেতন চাহিলেন ; কিন্তু কৃতকার্ষ্য না হওয়ায় পরদিন কলসী উৎসর্গের নিতান্ত ব্যাঘাত দেখিয়া যার পর নাই বিষণ্ণবদনে যুবরাজ শ্রীশচন্দ্রের নিকট উপ স্থিত হইলেন। যুবরাজ জিজ্ঞাসিলেন “ আজ নুতন কি ?” রসসাগর উত্তর করিলেন “শাস্ত্রকারের কহিয়াছেন, কোন পিতৃক্রিয় পণ্ড হইলে অরণ্যে রোদন করিয়া পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবে, একারণ আমি কিয়ৎক্ষণ মজুমদারের নিকট রোদন করিয়া আইলাম। ” একদা কোন ভূম্যধিকারীর বাটতে কোন কৰ্ম্মে পলক্ষে রাজসভ স্থিত সমস্ত ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিমন্ত্রিত হন । কৰ্ম্মকর্তা যেখানে বসিয়া বিদায় দক্ষিণ প্রদান করিতেছিলেন, সে গৃহের দ্বারটা কিছু ক্ষুদ্র । রসসাগর গৃহ প্রবেশ করিতে মস্তকে দ্বার ঠেকিল । সভাস্থ সকলে হাসিয়া কহিলেন, “আছা, বড় লাগিয়াছে, ” রসসাগর কছিলেন “ কি করি, ছোট দুয়ারে তো কখনো আসা অভ্যাস নাই! ” এই উত্তরে সকলেই অপ্রতিভ হইয়া নিস্তব্ধ হই লেন । রসসাগর । (ष्वनिfइग्न मtः, •२४१ কোন সময়ে এক বৈদ্যজাতীয় ভূম্যধিকারীর ভবনে কলিকাতা নিবাসী প্রসিদ্ধ পাচালী গায়ক লক্ষনীকান্ত বিশ্বাস গমন করেন । তিনি অত্যন্ত সুরসিক ছিলেন। সেই সময়ে ভূম্যধিকারী রসসাগরকেও নিমন্ত্রণ করিয়া লইয়া যান । এই উভয় সুপ্রসিদ্ধ সুরসিকের পরস্পর বচন বৈদগ্ধী শ্রবণের জন্য তথায় অনেক ভদ্রলোকের সমাগম হয়। এই গ্রামের বৈদ্যের ত্রাহ্মণের ন্যায় গলদেশে যজ্ঞোপবীত ধারণ করিত, এজন্য তথাকার ব্রাহ্মণ বৈদ্যে কোন প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যাইত না । নব দ্বীপাধিপতির অধিকার মধ্যে এ প্রথা ছিল না। রসসাগর আপন উপবীতে এক কড়া কড়ি বাধিয়া সভায় উপস্থিত হইলেন । সকলে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে এই উত্তর করিলেন যে “ এ বামুনে পৈতে। ” এই কথা শ্রবণ মাত্র ব্রাহ্মণের অত্যন্ত হাস্য করিয়া উঠিলেন এবং বৈদ্যেরা অতিশয় লজ্জিত হইলেন । রসসাগর অত্যন্ত কুৎসিত ছিলেন, লক্ষনীকাস্তুের একটা চক্ষু ছিল না। রসসাগর সভাস্থ হইলে লক্ষনীকান্ত “আসুন আট পুণে ঠাকুর” বলিয়া সম্ভাষণ করিলেন। রসসাগর তৎক্ষণাৎ “ থাকরে বেট চারি পুণে ” বলিয়া ঐ শিষ্টাচারের প্রতিশোধ দিলেন। উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ এই উভয় বাক্যের ভাবাৰ্থ জ্ঞাত হুইবার জন্য ব্যগ্র